ঢাকা: ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ইসকনের সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তাল বাংলাদেশ। হিন্দুদের উপরে হামলার লাগাতার অভিযোগ আসছে। বাড়ি-ঘর, দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চিত্রও সামনে এসেছে। বুধবার বাংলাদেশের হাইকোর্টে ইসকনকে নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষণা করার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশে ইসকনের মন্দির-অফিসে হুমকি আসতে শুরু করল।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের শিবচরে ইসকনের মন্দিরগুলিকে নিশানা করছে মৌলবাদী জামাতরা। মন্দির বন্ধের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। বাংলাদেশের সোনালি মার্কেটে অবস্থিত ইসকন মন্দির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মন্দির বন্ধ না করলে, ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ইসকনের এই মন্দির থেকেই বোর্ড খুলে নেওয়া হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মৌলবাদী নেতারা আধ ঘণ্টার মধ্যে মন্দির বন্ধ করার এবং ইসকনের সদস্যদের গ্রেফতার করার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ও সেনারাও সেখানে উপস্থিত ছিল। ইসকনের সমর্থকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ।
Breaking News: *ISKCON Namhatta center in Shibchar Bangladesh forcefully Closed Down by Muslims*.
The army arrived and took away the ISKCON devotees in a vehicle. A viral video on social media shows extremists removing the board of the ISKCON temple, which features a picture of… pic.twitter.com/qJlka16tmU
— Radharamn Das राधारमण दास (@RadharamnDas) November 27, 2024
অন্যদিকে, ইসকনকে মৌলবাদী সংগঠন ঘোষণা করে গোটা দেশেই নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ইসকনের ৬৫টি মন্দির রয়েছে। ৫০ হাজারেরও বেশি অনুগামী রয়েছে। ঢাকায় ১৩টি ইসকন মন্দির রয়েছে। চট্টগ্রামে ১৪টি, সিলেটে ৯টি, খুলনায় ৮টি এবং রংপুরে ৭টি ইসকন মন্দির রয়েছে।
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের অভিযোগ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই হিংসা, অত্যাচার কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। গত অগস্ট থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার, হিংসা, হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। ইসকন হিন্দুদের উপরে এই অত্যাচার নিয়েই সরব হয়েছিল। গত অক্টোবরে মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।