Maldives: ‘দুই মাস দিচ্ছি…’, সেনা সরাতে ভারতকে ‘ডেডলাইন’ মলদ্বীপের

Maldives: লাক্ষাদ্বীপ-মলদ্বীপ বিতর্ক সাম্প্রতিক হলেও, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নতুন নয়। বস্তুত, 'ইন্ডিয়া আউট' এই নীতি সামনে রেখেই ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। নির্বাচিত হওয়ার পরই তিনি ভারতীয় সৈন্যদের মলদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার বেঁধে দিলেন ডেডলাইন।

Maldives: 'দুই মাস দিচ্ছি...', সেনা সরাতে ভারতকে 'ডেডলাইন' মলদ্বীপের
মলদ্বীপ থেকে ভারতীয়সেনার উপস্থিতি সরানোর দাবি সামনে রেখেই ক্ষমতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jan 14, 2024 | 10:13 PM

মালে: সময় মাত্র দুই মাস। ১৫ মার্চের মধ্যেই মলদ্বীপ থেকে ভারতের সমস্ত সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলেন সেই দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পাবলিক পলিসি সেক্রেটারি আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম বলেছেন, “ভারতীয় সামরিক কর্মীরা মালদ্বীপে থাকতে পারবেন না। এটাই রাষ্ট্রপতি ড. মহম্মদ মুইজ্জু এবং তাঁর প্রশাসনের নীতি।” লাক্ষাদ্বীপ-মলদ্বীপ বিতর্ক সাম্প্রতিক হলেও, মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নতুন নয়। বস্তুত, ‘ইন্ডিয়া আউট’ এই নীতি সামনে রেখেই ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। নির্বাচিত হওয়ার পরই তিনি ভারতীয় সৈন্যদের মলদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “মলদ্বীপের মাটিতে কোনও বিদেশি সেনা না থাকাটা আমাদের দেশকে নিশ্চিত করতে হবে”। এর প্রায় দুই মাস পর সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের ডেডলাইন বেঁধে দিল মলদ্বীপ প্রশাসন।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে মলদ্বীপে ৮৮ জন ভারতীয় সামরিক কর্মী রয়েছেন। সাধারণত, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে ভারত ভ্রমণ করেন। কিন্তু, সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটেছেন মুইজ্জু। প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি চিনে গিয়েছিলেন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তার কয়েকদিন বাদেই ডেডলাইন দিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের জন্য, ইতিমধ্যেই দুই দেশ এক উচ্চ-পর্যায়ের কোর কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির প্রথম বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার মুনু মাহাওয়ার। এই বৈঠকেই ভারতীয় পক্ষকে ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম।

চিন সফরের সময়, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু যেমন বেজিংয়ের সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক বিতর্কের প্রেক্ষিতে ভারতকেও পরোক্ষে আক্রমণ করেন। কোনও বিশেষ দেশের নাম না করেই মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “আমরা ছোট দেশ হতে পারি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনি আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছেন। আমরা কারও বাড়ির উঠোনে অবস্থিত নই। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। তাই, মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে না গলানোর অধিকার কোনও দেশের নেই।”