লন্ডন: কতটা গড়িয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা? আগামীতেই বা কতটা গড়াবে? লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে ‘ভিন্ন মত’ পোষণ মমতার।
ব্রিটেনের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র নিয়ে সেদেশে সফরে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফর ঘিরে ঠাসা কর্মসূচি মমতার। দলের একাংশ বলছে, ‘বিনিয়োগ নিয়েই বাংলায় ফিরবেন তিনি।’
বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ পর্ব। সময় মেপেই লন্ডনের হোটেল থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে (Kellogg College) পৌঁছে যান তিনি।
মমতার ভাষণপর্ব চলাকালীন কিছুটা বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হলেও, ক্ষণিকের মধ্যেই আবার সব শান্ত হয়। বক্তৃতা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে বসেন মমতা। তাঁর রাজনৈতিক জীবন থেকে শাসনকাল, প্রতিটা পর্ব উঠে আসতে দেখা যায় এই সাক্ষাৎকারে।
তখনই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, ‘বিশ্বের বৃহৎতম অর্থনীতির তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনকেও তারা ছাপিয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই পঞ্চম থেকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশেও পরিণত হবে ভারত। আমরা কি আশা করতে পারি, সম্ভবত ২০৬০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘এই প্রসঙ্গে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যা আমি এখানে বলতে পারব না। তবে এই সবচেয়ে বৃহত্তম অর্থনীতির প্রসঙ্গে আমার একটু ভিন্ন মতামত রয়েছে। করোনার পর থেকেই গোটা পৃথিবীতে একটা অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এই অস্থিরতা যতদিন না কাটছে, তত দিন পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আমি আশা রাখি, আমার দেশ তার নিজের সর্বোচ্চটা দেবে।’