Psychedelic High: মাথায় ফুটো করাও নেশা? মেলানের কাহিনি শুনলে অবাক হবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 25, 2023 | 6:30 AM

Britain: ১৯৬০-এর দশকে নেদারল্যান্ডসের বার্ট হাগেসের থেকে মাথায় ফুটো করার এই প্রাচীন পদ্ধতি রপ্ত করেছিলেন মেলান। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ট্রেপানেশন। মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন শল্য চিকিৎসার পদ্ধতি হল ট্রেপানেশন।

Psychedelic High: মাথায় ফুটো করাও নেশা? মেলানের কাহিনি শুনলে অবাক হবেন
প্রতীকী ছবি

Follow Us

ব্রিটেন: মাদকের নেশায় লোকে কী কী না করে থাকে! শুধু মাদকের নেশাই নয়, নেশার জন্য এক এক জন এমন এমন উপায় বের করে নেন, যা আপনি সুস্থ মস্তিষ্কে কল্পনাও করতে পারবেন না। কিন্তু সেই সব নেশার উপায়কে হার মানাবে ব্রিটেনের এই ব্যক্তির কীর্তি। জো মেলান নামে ওই ব্যক্তি নেশায় মগ্ন থাকতে নিজের মাথাতেই গর্ত করে নিয়েছিলেন। ইনি কোনও যে সে ব্যক্তি নন। বিভিন্ন ধরনের হ্যালুসিনেশন প্রক্রিয়ার জন্য ব্রিটেনের মাদক দুনিয়ায় বেশ নামডাক রয়েছে তাঁর। এলএসডি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষাও চালিয়েছিলেন তিনি। শুনলে অবাক হবেন, এই ব্যক্তির আবার এক জীবনীও রয়েছে। মাথায় কীভাবে গর্ত করেছিলেন, তার যাবতীয় বৃত্তান্ত লেখা রয়েছে মেলানের জীবনীতে। ষাটের দশকে তাঁর সেই কীর্তির কথা আবারও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।

১৯৬০-এর দশকে নেদারল্যান্ডসের বার্ট হাগেসের থেকে মাথায় ফুটো করার এই প্রাচীন পদ্ধতি রপ্ত করেছিলেন মেলান। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ট্রেপানেশন। মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন শল্য চিকিৎসার পদ্ধতি হল ট্রেপানেশন। সেখান থেকে গোটা বিষয়টি শিখেই নিজের উপর তা চেষ্টা করেছিল মেলান। প্রথমবারেই অবশ্য সাফল্য পাননি তিনি। তিনবার চেষ্টার পর শেষে নিজের মাথায় গর্ত করে একটি কাঙ্ক্ষিত রূপ দিতে পেরেছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে হাতে ধরা একটি ড্রিল মেশিন দিয়ে গোটা প্রক্রিয়াটি করেছিলেন তিনি।

প্রথমবারের চেষ্টায় সফল না হওয়ার পর কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে সেখানকার এক সংবাদমাধ্যমকে মেলান বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন ব্য়বহার করতে পারিনি। কারণ আমার সেই সামর্থ্য ছিল না। তাই আমি একটি সার্জিকাল সামগ্রীর দোকান থেকে হাত দিয়ে ব্যবহার করার মতো একটি ড্রিল মেশিন কিনেছিলাম। এটা ছিল অনেকটা কর্কস্ক্রুর মতো, কিন্তু নীচের দিকে দাঁতের মতো খাঁজ করা ছিল। এটির মাঝখানে একটা জায়গা ছিল, যা মাথার খুলিতে একটি ছাপ ফেলে। তারপর এটাকে ঘুরিয়ে যেতে হয়, যতক্ষণ না ওই খাঁজগুলি দিয়ে খুলি কাটা যায়।’

এরপর দ্বিতীয়বারও ওই একই প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করেছিলেন তিনি। হাত দিয়ে ড্রিল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে অনেকটাই করে ফেলেছিলেন তিনি। একটি বিকট শব্দও শুনতে পাচ্ছিলেন। ভেবেছিলেন, হয়ত প্রায় হয়ে এসেছে। কিন্তু না, সেইবারই পুরোপুরি হল না। তারপর ১৯৭০ সালে মোক্ষম চেষ্টা। এবার অবশ্য তিনি বৈদ্যুতিন ড্রিল ব্যবহার করেছিলেন। আর সেই ড্রিল দিয়ে মাথায় ফুটো করে পছন্দমতো গর্ত বানিয়ে নিয়েছিলেন। মাথায় ফুটো করা, তারপর সব পরিষ্কার করা… সব মিলিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা মতো সময় লেগেছিল তাঁর। মেলানের কথায়, মাথায় ওই গর্ত করার পরই এক অদ্ভুত আচ্ছন্নতার মধ্যে চলে গিয়েছিলেন তিনি। যেন শরীরটা পুরো হালকা হয়ে গিয়েছিল। মেলানের লেখা সেই বই, অন্তত ৫০০ কপি বিক্রি হয়েছে।

Next Article