Crime News : নৃশংসভাবে খুন একই পরিবারের ৪ জন, ৮ বছর পর খুনি ধরা পড়তেই সামনে এল আসল রহস্য
Crime News : একই পরিবারের ৪ জনকে খুন করেছিল এক ব্যক্তি। ৮ বছর পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল সেই ব্যক্তি।
নিউ ইয়র্ক : ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারির ঘটনা। আলাদা আলাদা বেডরুম থেকে মিলেছিল চারটি নিথর দেহ। ৫০ বছরের মেয়োই সান, ৪৯ বছর বয়সী মেইক্সি, ৯ বছর ও ৭ বছরের তিমোথি সান ও তিতাস সানের দেহ পাওয়া গিয়েছিলয। প্রত্যেকটি মৃতদেহেই স্পষ্ট ছিল বুলেটের ছিদ্র। একটা গোটা পরিবার শেষ হয়ে যায় এই ঘটনায়। এই খুনের অভিযোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ফাং লুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই পরিবারের চারজনকে খুন করার পিছনে ফ্যাংয়ের উদ্দেশ্যও প্রকাশ করেছে পুলিশ।
আট বছর আগে ঘটনা। একটি বাড়ির ভিন্ন ভিন্ন ঘর থেকে উদ্ধার হয় চারটি মরদেহ। কোনও সন্দেহই ছিল না এটা খুন। কারণ তাঁদের সকলের দেহেই ছিল বুলেটের ছিদ্র। রেয়াত করা হয়নি ৭ বছর ও ৯ বছরের দুই শিশুকেও। অবশেষে এই হত্য়াকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় চিন থেকে ফেরার পরই ফ্যাং লু। তাকে গ্রেফতারের পর এই খুনের কারণ সম্বন্ধে জানতে পারল পুলিশ। আউটলেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে মেয়োই ৫৮ বছর বয়সী ফ্যাং লুয়ের সিনিয়র ছিলেন। মেয়োই তাঁর পদোন্নতির জন্য় সুপারিশ না করায় তাঁর উপর ফ্যাং ক্ষুণ্ণ ছিলেন।
কোর্টের নথি অনুযায়ী,সংস্থার রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেকশনে ট্রান্সফার চেয়েছিলেন ফ্যাং। সেই বিষয়ে মেয়োইকে তাঁর সম্বন্ধে ভাল কথা বলতে বলেছিলেন। কিন্তু ফ্যাং অফিস পৌঁছে দেখেন সহকর্মীরা তাঁর সঙ্গে অদ্ভুত ব্যবহার করছেন। তখন তিনি মেয়োইকে সন্দেহ করেন। তিনি নিজেই ধারণা করে নেন, এই কারণেই হয়ত তাঁর পদোন্নতি হয়নি। ফ্যাংয়ের স্ত্রী জানিয়েছেন, পদোন্নতি নিয়ে মেয়োইয়ের সঙ্গে ঝামেলা ছিল। ফ্য়াংয়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেন ফ্যাং। তবে তিনিই যে খুন করেছেন তা মানতে নারাজ ফ্যাং। তবে সান পরিবারের একটি কোচ পার্সে ফ্যাংয়ের ডিএনএ প্রিন্ট থেকেই তাঁকে খুনী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। কিন্তু ডিএনএ প্রিন্টের পরীক্ষার ফলাফল যখন আসে তখন চিনে চলে যান। তবে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিমানবন্দরে আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।