Unhealthy Diet: দেহের ৫৬ শতাংশ রোগের পিছনে দায়ী খাবার, ক্রনিক অসুখ এড়াতে কেমন হবে সুষম আহার?
Diet Tips by ICMR: বাইরের খাবার খেলে তৃপ্তি হয়। কিন্তু দেহে কোনও উপকার মেলে না। পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয় না। উল্টে ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুষম আহারই সুস্থ থাকার একমাত্র পথ। ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চললে দেহের ৫৬ শতাংশ রোগের ঝুঁকি আপনি কমিয়ে দিতে পারবেন।

দেহের ৫৬ শতাংশ রোগের মূলে রয়েছে খাবার। এমনটাই জানাচ্ছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর সাম্প্রতিক গবেষণা। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে খাবার। আর সেখানেই যদি ঘাটতি থেকে যায়, স্বাভাবিকভাবেই রোগের ঝুঁকি বাড়বে। তবে, বর্তমানে ভারতীয়দের মধ্যে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি। আর এখান থেকেই জীবনে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক অসুখ। এমনকি ক্যানসারের মতো মারণ রোগের পিছনেও দায়ী অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
বাইরের খাবার খেলে তৃপ্তি হয়। কিন্তু দেহে কোনও উপকার মেলে না। পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয় না। উল্টে ক্রনিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুষম আহারই সুস্থ থাকার একমাত্র পথ। ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চললে দেহের ৫৬ শতাংশ রোগের ঝুঁকি আপনি কমিয়ে দিতে পারবেন। আদর্শ ডায়েট কেমন হওয়া উচিত, সেটাও জানিয়েছে আইসিএমআর। কী ধরনের খাবার খাবেন, তাতে কতটা পরিমাণ ক্যালোরি থাকবে সবই প্রকাশিত হয়েছে আইসিএমআর-এর নির্দেশিকায়।
১) কমপক্ষে ৮ ধরনের খাবার ডায়েটে রাখতে হবে, যার মধ্যে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাবেন। এর মধ্যে তাজা সবজি, শাকপাতা, কন্দযুক্ত সবজি, ফল সবই থাকবে। এতে দেহে ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণ হবে।
২) দ্বিতীয়ত, খাবার পাতে দানাশস্য রাখা জরুরি। তারপর রাখুন ডাল, মাংস, ডিম, শুকনো ফল, বীজ ও দুধ বা দই। খাবার পাতে ৪৫ শতাংশ দানাশস্য রাখতেই হবে। বাকি ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ মাছ বা মাংস, ডিম, ডাল রাখতে হবে।
৩) খাদ্যতালিকা থেকে ফ্যাট সম্পূর্ণরূপে বাদ দেবেন না। চর্বি থেকেই শক্তি উৎপন্ন হয়। খাদ্যতালিকায় ৩০ শতাংশ ফ্যাট রাখুন। তবে, ফ্যাটের উৎস সঠিক হওয়া চাই। বাদাম, বীজ, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ইত্যাদি খান। আর খাদ্যতালিকা থেকে নুন ও চিনির পরিমাণ কমান।
৪) আইসিএমআর-এর প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দানাশস্য প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তির ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে। অন্যদিকে, ডাল, মাংস, মাছ একসঙ্গে ৬-৯% শক্তির জোগান দেয়। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৫) সুষম আহারে ৪৫ শতাংশের বেশি ক্যালোরি থাকা উচিত নয়। ডাল, শাকসবজি ও মাংস থেকে ১৫ শতাংশ ক্যালোরি পেয়ে যাবেন। প্রতিদিনের ডায়েটে যতটা সম্ভব সবজি, ফল ও শাক রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া দানাশস্য, ডাল, মাংস, শুকনো ফল, বীজ ও দুধ রাখুন।





