Piles Problem: পাইলসে কষ্ট পাচ্ছেন? রইল কষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
পারিবারিক ইতিহাস, কম ফাইবার গ্রহণ, গর্ভাবস্থা এবং ওজন বৃদ্ধির কারণেও পাইলস হতে পারে। পাইলসের প্রধান লক্ষণ হল মলের সঙ্গে রক্ত পড়া। সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মলত্যাগের সময়ও ব্যথা হতে পারে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকের মলত্যাগে অনেকটা সময় লাগে। তার পরেও পরিষ্কারভাবে মলত্যাগ হয় না। কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে পাইলসের মতো জটিল সমস্যা দেখা যাবে। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টি উপেক্ষা করেন। ফলে রোগ আরও জটিল হয়ে ওঠে। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘস্থায়ী ডায়েরিয়া এবং টয়লেটে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা পাইলসের প্রধান কারণ। পারিবারিক ইতিহাস, কম ফাইবার গ্রহণ, গর্ভাবস্থা এবং ওজন বৃদ্ধির কারণেও পাইলস হতে পারে। পাইলসের প্রধান লক্ষণ হল মলের সঙ্গে রক্ত পড়া। সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মলত্যাগের সময়ও ব্যথা হতে পারে। মলত্যাগের সময় মলদ্বারে ব্যথা বা রক্তপাতের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
পাইলসের চিকিৎসা মূলত জীবনযাত্রার পরিবর্তন, প্রাথমিক রোগে ওষুধ এবং চতুর্থ ডিগ্রি পাইলসের সার্জারির মাধ্যমে করা হয়। অনেকে মনে করেন, পাইলসের অস্ত্রোপচারের পরও সমস্যা ফিরে আসবে। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের মলদ্বারের উপরে তিনটি পাইলস থাকে। যাদের দীর্ঘ সময় ধরে মলত্যাগ করতে সমস্যা হয় তাদের পাইলস নেমে যায় এবং রোগ সৃষ্টি করে। তখন পাইলস নেমে আসে এবং রক্তপাত হয়। কিছু নিয়মকানুন সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কীভাবে নিয়ন্ত্র্ণে থাকবে পাইলস?
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, বেশি করে আঁশযুক্ত শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া এবং প্রতিদিন বেশি করে জল পান করা উচিত। রেড মিট, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, বেশি মশলাদার খাবার, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করুন। মল ত্যাগের জন্য চাপ না দেওয়া, দীর্ঘ সময় ধরে টয়লেটে না বসে থাকা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়েও নজর দিতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারে। প্রতিদিনের ব্যায়াম সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি। এই সবহ নিয়ম মেনে চললে তবেই পাইলসের সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।





