VIDEO: নেশামুক্তি কেন্দ্রে বিধ্বংসী আগুনে মৃত বেড়ে ৩২

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Nov 03, 2023 | 4:57 PM

Iran: মাদকের নেশা ও অপরাধের নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে ইরান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুসারে, ইরানের মধ্য দিয়েই আফগানিস্তান থেকে পশ্চিম ইউরোপে আফিম ও হেরোইন পাচার হয়। স্বাভাবিকভাবে মাদকের নেশা ছাড়াতে নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে যথেষ্ট ভিড় থাকে।

VIDEO: নেশামুক্তি কেন্দ্রে বিধ্বংসী আগুনে মৃত বেড়ে ৩২
নেশামুক্তি কেন্দ্রে বিধ্বংসী আগুন।
Image Credit source: AFP

Follow Us

তেহরান: মাদক নেশা ছাড়াতে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানেই অকালে চলে গেল প্রাণ। নেশামুক্তি কেন্দ্রে (Rehabilitation centre) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩২ জনের। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৬ জন। যার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ইরানের (North Iran) জিলান প্রদেশের লাঙ্গারুদ শহরে।

জিলানের গভর্নর মহম্মদ জালাই জানান, লাঙ্গারুদ শহরে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। এছাড়া ১৬ জন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তার মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঠিক কী কারণে নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গিলানি প্রদেশের প্রধান বিচারপতি। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে সেন্টার ম্যানেজার-সহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাঙ্গারুদ শহরের নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে ৪০ জন থাকার জায়গা নেই। কিন্তু, ৪০ জনের বেশি সংখ্যক মাদকাসক্তকে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে ২৭ জনের মৃত্যু হলেও শুক্রবার সকালে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, নেশামুক্তি কেন্দ্রটি সংলগ্ন আকাশ কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল বাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স। এই অগ্নিকাণ্ডে যে কেন্দ্রটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা ভিডিয়ো ফুটেজে স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, মাদকের নেশা ও অপরাধের নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে ইরান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুসারে, ইরানের মধ্য দিয়েই আফগানিস্তান থেকে পশ্চিম ইউরোপে আফিম ও হেরোইন পাচার হয়। স্বাভাবিকভাবে মাদকের নেশা ছাড়াতে নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে যথেষ্ট ভিড় থাকে।

Next Article