ক্যালিফোর্নিয়া: সুখের দিন শেষ। সংস্থার নাম বদলের সঙ্গে সঙ্গে এবার কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধাও কমিয়ে দিচ্ছে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থা মেটা। তবে শুধু সুযোগ-সুবিধাই নয়, ঘড়ি দেখে প্রায় সমস্ত কাজের জন্যই সময়ও বেধে দিচ্ছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ফেসবুকের কর্মচারীদের বিনামূল্যে জামাকাপড় কাচার সুবিধা দেওয়া হত। এবার থেকে সেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নৈশভোজের সময়ও সন্ধে সাড়ে ৬টা থেকে পরিবর্তন করে আগের মতো ৬টায় করে দেওয়া হচ্ছে।
কর্মীদের অভিযোগ, নৈশভোজের নতুন সময়ের জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ অফিসের তরফে দেওয়া গাড়ি ছাড়ে সন্ধে ৬টায়। এদিকে, সেই সময়টাই সংস্থার তরফে দেওয়া বিনামূল্যে নৈশভোজের জন্যও বেছে নেওয়া হয়েছে। ফলে কর্মীদের যেকোনও একটি সুবিধা ছাড়তে হচ্ছে। এর আগেই মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কর্মচারীরা পুনঃব্যবহারযোগ্য কোনও কৌটো বা টিফিন বক্স আনতে পারবেন না নিজের বা পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, গত মাস থেকেই দীর্ঘ ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কাটিয়ে অফিসে এসে কাজ করা শুরু করেছেন ফেসবুক সহ মেটার অধীনে থাকা বাকি সংস্থার কর্মীরা। তবে এখনও ‘হাইব্রিড মোড’ই অনুসরণ করা হচ্ছে। ফলে কিছু কর্মচারী যেমন অফিসে আসছেন, বাকিরা বাড়িতে বসেই কাজ করছেন।
মূলত সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত সংস্থার কর্মচারীদের বিপুল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু মেটার নীতি পরিবর্তনেই অশনী সঙ্কেত দেখছেন বাকি সংস্থার কর্মচারীরাও। করোনা সংক্রমণের কারণে যে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল , তা পূরণ করতেই একাধিক সুযোগ সুবিধায় কাটছাট করা হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। যদিও প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্মচারীদের দাবি, লকডাউনের সময়ও তারা বাড়িতে বসেই সমস্ত কাজ করেছেন। সংস্থার আর্থিক ক্ষতি তো হয়ইনি, বরং চাহিদা বৃদ্ধি ও অফিসের বিভিন্ন খরচ কমায় অতিরিক্ত লাভ হয়েছে।