ঢাকা: লাখ টাকার প্রশ্ন, বাংলাদেশের নির্বাচন কবে হবে? মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ। বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে দ্রুত নির্বাচন করানোর জন্য। সোমবার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের শেষভাগে বা ২০২৬ সালের শুরুতে নির্বাচন হতে পারে। এবার তাঁর প্রেসসচিব নির্বাচনের দিনক্ষণও জানিয়ে দিলেন।
গতকাল, মঙ্গলবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে আশা করতে পারেন”। প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মহম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, নির্বাচনের তারিখ, কবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে—এগুলি নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠভাবে হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের তরফ থেকেও কিছু দাবি জানানো হয়েছে।
নির্বাচনের পাশাপাশি গত জুলাই-অগস্ট মাসে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার হবে বলেও আশ্বাস দেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “যাদের হাতে রক্ত আছে, তাদের বিচার হবেই। এখানে কোনো মাফ নেই। যারা গুমে (অপহরণ করে অজ্ঞাত ঠিকানায় পাঠানো) জড়িত, তারা রাজনৈতিক দলের নেতা হোক, বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, যে-ই হোক, তাদের বিচার হবে। এইটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন।”
বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে মঞ্জুরি শব্দটি বাদ দেওয়ার ঘোষণাও করেন তিনি। এবার থেকে ইউজিসি কেবল ইউনিভার্সিটি কমিশন বা ইউসি নামে পরিচিত হবে।