উত্তাল মায়ানমার: আন্দোলনে ফের পুলিশের বুলেট, মৃত্যু ২ জনের

সুমন মহাপাত্র |

Feb 20, 2021 | 6:34 PM

পয়লা ফেব্রুয়ারি নেত্রী সু কি-কে (Aung San Suu Kyi) সামরিক বাহিনী আটক করার পর থেকে ক্রমাগত আন্দোলন হয়েছে গোটা মায়ানমার (Myanmar) জুড়ে।

উত্তাল মায়ানমার: আন্দোলনে ফের পুলিশের বুলেট, মৃত্যু ২ জনের
ছবি- পিটিআই

Follow Us

ইয়াঙ্গন: মায়ানমারে প্রতিবাদীদের দমাতে ফের কড়া পদক্ষেপ করল সেনা পুলিশ। কয়েক দিন আগেই নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-র মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারী রেলওয়ে কর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছিল সে দেশের জান্তা সরকার। তারপর কয়েকটা দিন কাটতে না কাটতেই ফের পুলিশের হাতে আহত হলেন আন্দোলনকারীরা। সে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বেশ কয়েক জন। তখনই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে পুলিশ। সেই ঘটনায় ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন ও ২০ জন আহত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন সে দেশের আপদকালীন স্বেচ্ছাসেবক পরিষেবা সংস্থার প্রধান কো অং।

পয়লা ফেব্রুয়ারি নেত্রী সু কি-কে সামরিক বাহিনী আটক করার পর থেকে ক্রমাগত আন্দোলন হয়েছে গোটা মায়ানমার জুড়ে। সু কি-র মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন হাজারো মায়ানমারবাসী। সেই আন্দোলনকে পঙ্গু করতে বিক্ষোভকারীদের উপর রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, এমনকি গুলিও ছুয়েছে জান্তা সরকার। কিন্তু তারপরেও আন্দোলন দমেনি। টানা ৬ দিন ধরে সে দেশে বন্ধ উইকিপিডিয়া। বন্ধ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া।

ইয়াঙ্গনে বিক্ষোভ

এমতাবস্থায় জান্তা শাসনের অবসান ও সু কি-র মুক্তির মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কবি, পরিবহণ কর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষরা। মান্দালায় তেমনই প্রতিবাদ চলাকালীন প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ও তারপর বন্দুক বার করে পুলিশ। তবে সেই বন্দুক থেকে গুলি নাকি রাবার বুলেট ছিল, তা জানা যায়নি। মান্দালার আপদকালীন পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, বিক্ষোভস্থলেই মাথায় আঘাত লাগার দরুন প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ ব্যক্তি। অন্য আরেক জন বুকে আঘাত নিয়ে এলে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও এক প্রতিবাদকারী তরুণী।

সু কি-র নামে মোট ২টি অভিযোগ দায়ের করেছে জান্তা সরকার। প্রথমটি সে দেশের আমদানি-রফতানি আইন ভঙ্গের জন্য অপর অভিযোগটি জাতীয় দুর্যোগ আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী। সেই অভিযোগের শুনানি হবে পয়লা মার্চ। সু কি-র মুক্তির দাবিতে আগেই সরব হয়েছে আমেরিকা। গণতন্ত্র ফেরাতে মায়ানমারের উপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে শুরু করেছে ভারতও। তবু সু কি-র মুক্তির বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি সামরিক বাহিনী। উল্টে ধরপাকড় বাড়িয়ে আন্দোলন রুখতে চাইছে সেনা। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সে দেশে অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত বন্দি হয়েছেন প্রায় ৪৬০ জন।

আরও পড়ুন: প্যাংগং থেকে সেনা সরলেও চিন্তা কাটেনি দেসপাংয়ে, দশম দফার বৈঠকে ভারত-চিন

Next Article