WHO on ‘NeoCOV’: মানুষের জন্য আদৌ ঝুঁকির কারণ হতে পারে ‘নিওকোভ’? কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 29, 2022 | 10:29 AM

World Health Organization: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, চিনা বিজ্ঞানীদের উল্লেখিত নিওকোভ করোনা ভাইরাসটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

WHO on NeoCOV: মানুষের জন্য আদৌ ঝুঁকির কারণ হতে পারে নিওকোভ? কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (ফাইল ছবি)

Follow Us

নয়া দিল্লি: ওমিক্রনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার আরও এক করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus Pandemic) ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক। নাম নিওকোভ (NeoCOV)। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, চিনা বিজ্ঞানীদের উল্লেখিত নিওকোভ করোনা ভাইরাসটি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। উহান গবেষকদের একটি দল দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে একটি নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস, নিওকোভ খুঁজে পেয়েছেন। এক গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, এই ভাইরাসটি ভবিষ্যতে মানুষের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতে পারে। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস হল ভাইরাসের একটি বড় পরিবার যা সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর কোনও সমস্যা (SARS) পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।

 বাদুড়ের শরীরে প্রায়শই পাওয়া যায় করোনা ভাইরাস

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, এই ভাইরাসটির আবির্ভাব সম্পর্কে তারা সচেতন, তবে ভাইরাসটি মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা TASS-কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “গবেষণায় শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে কিনা, তা নিয়ে আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন।” হু বলছে, মানুষের মধ্যে ৭৫ শতাংশ সংক্রামক রোগের উৎস বন্য প্রাণী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, “করোনা ভাইরাস প্রায়শই বাদুড়ের মতো প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়। এরা এই ভাইরাসগুলির অনেক ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক আধার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।”

চিনা গবেষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে হু

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে আরও বলা হয়েছে, তারা এই নতুন জুনোটিক ভাইরাস মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এর পাশাপাশি চিনা গবেষকদের তাঁদের রিসার্চের প্রিপ্রিন্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, এই নিওকোভ দীর্ঘদিন ধরে বাদুড়ের শরীরে রয়েছে। মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে ওই গবেষণায় আশঙ্কা করা হয়েছে, নিওকোভ কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতোই মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে। BioRxiv-এ প্রকাশিত ওই গবেষণার প্রিপ্রিন্ট, যা এখনও পিয়র রিভিউ বাকি, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, “নিওকোভের মাত্র একটি মিউটেশন হলেই মানব শরীরের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।” উল্লেখ্য, এই নিওকোভ ভাইরাসটির সঙ্গে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের অনেকটা মিল রয়েছে। মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম হল এক ভাইরাল রোগ যা ২০১২ সালে প্রথমবার সৌদি আরবে শনাক্ত করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : New Coronavirus ‘NeoCOV’ : প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু! ‘নিওকভ’ নিয়ে সতর্কবাণী উহানের বিজ্ঞানীদের

আরও পড়ুন : Omicron Sub- Variant BA.2: ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে দেড় গুণ দ্রুত, ছোটদের নিয়ে থাকছে চিন্তা

Next Article