কাঠমান্ডু: বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই খেতে পারে মধু। বিভিন্ন ভাবে তা খাওয়া হয়ে থাকে। মৌমাছির মাধ্যমেই এই মধু পাওয়া যায়। ‘ম্যাড হানি’ নামের এক ধরনের মধু পাওয়া যায় নেপালে। কিন্তু এই মধুর সঙ্গে সাধারণ মধু অনেকটাই আলাদা। তা খেতেও মধুর মতো মিষ্টি নয়। যদিও কয়েকশো বছর ধরে এই মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বেশি পরিমাণে এই মধু শরীরে গেলে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ম্যাড হানি আসলে এক ধরনের প্রাকৃতিক সাইকেডেলিক। তা খেলে মাথায় ঝিম ধরে। নেশাও হয়। কিন্তু অল্প পরিমাণে খেলে এই ধরনের অনুভূতি হয় শরীরে। কিন্তু এই মধু বেশি পরিমাণে খেলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে। বমি, হ্যালুসিনেশন, খিঁচুনি শুরু হতে পারে ম্যাড হানি বেশি পরিমাণে খেলে। এমনকি কোনও মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে এই মধু।
ম্যাড হানি মূলত পাওয়া যায় নেপালে। এটি যেমন বিরল, তেমনই মূল্যবানও। ওষৌধি গুণের জন্য বহু বছর ধরেই তা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নামে মধু হলেও খেতে মোটেও মিষ্টি নয় এটি। কিছুটা তিতকুটে খেতে এটি। এমনকি প্রথম বার যাঁরা খাবেন তাঁদের গলায় অস্বস্তিও হতে পারে।
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ম্যাড হানির সঙ্গে মিশে থাকে গ্রায়ানোটক্সিন। এই গ্রায়ানোটক্সিনের জন্যই ম্যাড হানি বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এই গ্রায়ানোটক্সিন সাধারণত রডোডেনড্রন জেনাস গোত্রের গাছ থেকে। মৌমাছিরা ওই গোত্রোর গাছের ফুল থেকে যখন মধু সংগ্রহ করে, তখন তাঁদের দেহে তা চলে যায়। এবং সেই মৌমাছির মধুতেই থাকে ওই উপাদান। মূলত পাহাড়ি এলাকাতেই এই ধরনের মধু পাওয়া যায়। নেপালেই তাঁর উৎপাদন সবথেকে বেশি। এমনকি তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে মেলে এই ‘ম্যাড হানি’। ছেলেদের যৌন উত্তেজক হিসাবে ব্যবহৃত হয় এটি। পেটের সমস্যার চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা হয়।