কাবুল: আফগানিস্তানের (Afghanistan) শাসনভার হাতে আসার পর থেকে তালিবানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের বিভিন্ন অভিযোগ সামনে এসেছিল। আবার আরও এক তালিবানি (Taliban) ফতোয়া নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ভয়েস অব আমেরিকাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আফগানিস্তানের কোনও সরকারি আধিকারিক অথবা কোনও গবেষকের বিরুদ্ধে বৈধ প্রমাণ ছাড়া সমালোচনা করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করবে তালিবান সরকার। তালিবানের মুখপাত্র জ়াবিউল্লাহ মুজাহিদ শীর্ষ তালিবান নেতা মোল্লা হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার দেওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। তালিবান মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘শরিয়া আইন’ আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে। সেই কারণে আফগানিস্তানের জনসাধারণকে তালিবান সরকারে পক্ষ থেকে সত্যতা যাচাই না করে কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সরকারি আধিকারিকদের বিরোধিতা করার জন্য আফগানিস্তানের বেশ কিছু নাগরিককে গ্রেফতার করা শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। আখুন্দজাদার নির্দশে সামনে আসার পর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি সেনাবাহিনীর জওয়ানদের গায়ে হাত দেয় অথবা তাদের জামাকাপড় ধরে টান দেয় বা তাদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামের একটি সংগঠন আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা একাধিকবার তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ এনেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট আসরফ ঘানি সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করেছিল তালিবান। দীর্ঘ কয়েকমাসের ভয়াবহ যুদ্ধের পর কাবুলের মসনদ অধিষ্ঠিত হয়েছিল তালিবান। তালিবান দেশের ক্ষমতায় আসার পর সব থেকে বেশি আতঙ্কে ছিলেন সেদেশের মহিলারা। কারণ আগের তালিবান রাজে মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তালিবান শাসকদের বিরুদ্ধে। মহিলাদের বিভিন্ন অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আগামী দিনে আফগানিস্তান পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।