AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Salman Rushdie: নিউইয়র্কে মঞ্চেই ছুরিকাহত প্রখ্যাত লেখক সালমান রুশদি! উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে

Salman Rushdie attacked: শুক্রবার (১১ অগস্ট), আমেরিকার পশ্চিম নিউইয়র্কের এক প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে, মঞ্চেই আক্রান্ত হলেন প্রখ্যত লেখক সালমান রুশদি।

Salman Rushdie: নিউইয়র্কে মঞ্চেই ছুরিকাহত প্রখ্যাত লেখক সালমান রুশদি! উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে
নিউইয়র্কে মঞ্চেই আক্রান্ত প্রখ্যাত লেখক সালমান রুশদি
| Updated on: Aug 12, 2022 | 10:00 PM
Share

ওয়াশিংটন: শুক্রবার, আমেরিকার পশ্চিম নিউইয়র্কের এক প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে, মঞ্চেই আক্রান্ত হলেন প্রখ্যত লেখক সালমান রুশদি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময়ই আচমকা মঞ্চে উঠে লেখককে ছুরিকাঘাত করা শুরু করে এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক। তাঁকে দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আততায়ীকে আয়োজকরা ধরে ফেলেন। প্রসঙ্গত, ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটির জন্যই সেই ১৯৮০-এর দশক থেকেই ইরান রাষ্ট্র থেকে সরকারি ভাবে মৃত্যুর হুমকি রয়েছে সালমান রুশদির। শুধু ইরান নয়, তার বাইরেও বহুবার মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক।

ঘটনার ঠিক পরের ছবিতে ৭৫ বছর বয়সী রুশদিকে মঞ্চে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁকে ঘিরে ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলেন আয়োজক ও দর্শকরা। তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও জানা যায়নি। চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনের এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা একটি জরুরী পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি। আমি এই মুহূর্তে আর কিছু বলতে পারছি না।” নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে লেখককে হেলিকপ্টারে করে ওই এলাকার এক হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশন। পুলিশ জানিয়েছে, রুশদির সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন যিনি, তিনিও এই হামলায় মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

ছুরিকাঘাতের পর মাটিতে পড়ে যান ‘স্যাটানিক ভার্সেস’-এর লেখক

রুশদির সবথেকে বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত বই হল ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’। ১৯৮৮ সালেই ইরানে বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ইরান এবং বিশ্বের আরও অনেকের মতে বইটি ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারী। বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণার এক বছর পর, ইরানের প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইনি সালমা রুশদির মৃত্যুর আহ্বান জানিয়ে একটি ফতোয়া জারি করেছিলেন। রুশদিকে হত্যা করলে ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলারের বেশি পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে দিয়েছে ইরান। তবে এদিনের হামলার সঙ্গে ইরানের কোনও সংযোগ আছে কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। হামলাকারীর পরিচয় জানা যায়নি।

দীর্ঘদিন আগেই অবশ্য ইরান সরকার খোমেইনির সেই ফতোয়া থেকে নিজেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে। কিন্তু, তারপরও ইরানে রুশদি-বিরোধী মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি। ২০১২ সালে এক আধা-সরকারি ইরানী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রুশদির মাথার দাম বাড়িয়ে ৩৩ লক্ষ মার্কিন ডলার করেছিল। ফুৎকারে সেই হুমকি উড়িয়ে দিয়েছিলেন রুশদি। ভারতীয় লেখক সেই সময় বলেছিলেন, “কেউ এই পুরস্কার নিতে আগ্রহী এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” শুধু তাই নয়, ওই বছরই খোমোইনির সেই ফতোয়াকে বিষয়বস্তু করে ‘জোসেফ অ্যান্টন’ নামে একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছিলেন।

সালমান রুশদি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হলেও গত ২০ বছর ধরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেন। ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল। তবে তাঁর প্রতিভার আসল পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল ১৯৮১ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’। আধুনিক ভারত সম্পর্কে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য তিনি বুকার পুরস্কার জিতেছিলেন। তবে, তাঁর চতুর্থ উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিন তিনি লোকচক্ষুর বাইরে ছিলেন। তবে, ১৯৯০-এর দশকেও বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত উপন্যাস তিনি উপহার দিয়েছেন। ২০০৭ সালে সাহিত্য সেবার জন্য তিনি নাইট উপাধি পেয়েছিলেন।