Rishi Sunak: প্রথম রাউন্ডেই ঋষির বাজিমাত! আরও কাছে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার, বাগড়া দিতে পারেন পেনি

কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা তথা ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে প্রথম দফার ভোটে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে বেশি, ৮৮টি ভোট পেলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভুত রাজনীতিবিদ ঋষি সুনাক। তবে তাঁকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন বর্তমান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট।

Rishi Sunak: প্রথম রাউন্ডেই ঋষির বাজিমাত! আরও কাছে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার, বাগড়া দিতে পারেন পেনি
রেডি ফর ঋষি?
Follow Us:
| Updated on: Jul 14, 2022 | 12:07 AM

কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা তথা ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে, প্রথম দফার ভোটেই বাজিমাত করলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভুত রাজনীতিবিদ ঋষি সুনাক। প্রথম দফার ভোটে তিনি বরিস জনসনের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে থাকা কনজারভেটিভ পার্টি বা টোরি দলের সাংসদদের মধ্যে সবথেকে বেশি, ৮৮টি ভোট পেলেন। তবে তাঁকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন বর্তমান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। পেনি পেয়েছেন ৬৭টি ভোট। এছাড়া বিদেশ সচিব পদে থাকা লিজ ট্রাস ৫০টি ভোট পেয়েছেন। প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটির পর, এই দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন দুই প্রার্থী – অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউই এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। প্রথম রাউন্ডেই জাহাউই-এর ছিটকে যাওয়া বেশ বিস্ময়ের। অনেকেই এই ইরানি বংশোদ্ভুতকে, সুনাকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছিলেন। জাহাউই এবং হান্ট – কেউই ন্যূনতম ৩০টি ভোটও পাননি। এর ফলে প্রথম রাউন্ডের পর, পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রইলেন ঋষি সুনাককে নিয়ে মোট ছয়জন প্রার্থী। আগের দিনই ছিটকে গিয়েছিলেন আরও তিন প্রার্থী। কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫৮ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন।

প্রথম রাউন্ডের ভোটের ফলাফল –

ঋষি সুনাক – ৮৮

পেনি মর্ডান্ট – ৬৭

লিজ ট্রাস – ৫০

কেমি ব্যাডেনোচ – ৪০

টম তুগেনধাত – ৩৭

সুয়েলা ব্রেভারম্যান – ৩২

নাদিম জাহাউই – ২৫ (বাদ পড়েছেন)

জেরেমি হান্ট – ১৮ (বাদ পড়েছেন)

বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর, তাঁর উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে সবথেকে হাই-প্রোফাইল নাম ছিল ঋষি সুনাকেরই। ‘পার্টিগেট’ থেকে শুরু হয়েছিল জনসন সরকারের ভাবমূর্তির পতন। ব্রিটেনে কঠোর কোভিড লকডাউন চলাকালীন সরকারি বাসভবনে মদের পার্টি বসানো নিয়ে দলের মধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছিলেন বরিস জনসন। তার পর থেকে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে তাঁর সরকার। কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনচার-এর যৌন কেলেঙ্কারি কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেয়। মত্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ চেপে ধরার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন পিনচার। প্রথম থেকে সবটা জেনেও, অস্বীকার করেছিলেন বরিস। পরে তাঁর মিথ্যাচার ধরা পড়ে যায়।

এরপরই জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। যার সূত্র ধরে একের পর এক সাংসদ ও পদাধিকারীরা ইস্তফা দেন এবং বরিস জনসনও পদ ছাড়তে বাধ্য হন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন সুনাক। তিনি বলেন, ‘দল এবং দেশের প্রতি আমার সহজ বার্তা: এই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশকে চালিত করার বিষয়ে আমার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। একবার আমরা মুদ্রাস্ফীতিকে আটকাতে পারলে, আমি করের বোঝা কমিয়ে আনব। কখন হবে সেটাই একমাত্র প্রশ্ন।’