প্যারিস: স্বস্তিতে ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ (Emmanuel Macron)। পেগাসাস(Pegasus)-র শিকার হননি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, বুধবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিল ইজরায়েলের সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা এনএসও গ্রুপ (NSO Group)।
বাদল অধিবেশন শুরুর ঠিক আগের রাতেই সামনে আসে পেগাসাস কাণ্ড। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করেসাংবাদিক, শিল্পপতি সহ প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে। এরপরই মঙ্গলবার শোনা যায়, পেগাসাসের শিকার হয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁও। তাঁর ফোনেও নাকি ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে আড়ি পাতা হয়েছিল।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপের বিষয়টি সামনে আসতেই “রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস”-র তরফে ইজরায়েলের কাছে পেগাসাস প্রযুক্তি বিক্রি বন্ধের আবেদন জানানো হয়। এরপরই এনএসও গ্রুপের মুখ্য কমপ্লায়েন্স অফিসার চাইম গেলফান্ড একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট ও নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ পেগাসাসের শিকার হননি।”
কারা কারা পেগাসাসের মাধ্যমে নজরবন্দি রয়েছেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে কথা বলতে তারা স্বচ্ছন্দ নন। তবে এটিও জানান যে, এইধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে গ্রাহকের (এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ) সঙ্গে যোগাযোগ করে সংস্থা এবং কী কারণে তারা পেগাসাস স্পাইওয়্যার প্রযুক্তিটি ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চাওয়া হয়।
এনএসও-র তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৪৫টি দেশের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে এবং প্রতিটি চুক্তির ক্ষেত্রেই ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অনুমতি নিতে হয়। সংস্থার অন্যতম নিয়ম হল, তাদের গ্রাহকদের পরিচিতি সকলের সামনে না আনা। যদিও ফরবিডেন স্টোরিজ (যারা গোটা বিষয়টি সামনে এনেছিল)-র দাবি, পেগাসাস ব্যবহারকারীর তালিকায় ভারত, বাহরিন, মেক্সিকো, মরক্কো ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলি রয়েছে। আরও পড়ুন: ইদের দিনে বাংলাদেশে মৃত ১৭৩, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলল উদযাপন