কলম্বো : শ্রীলঙ্কায় প্রতিবাদ মিছিলে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। জখম হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। গত ১০ দিন ধরেই অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে শ্রীলঙ্কার রাস্তায় প্রতিবাদে নেমেছে লঙ্কাবাসী। মঙ্গলবার এই প্রতিবাদ মিছিলেই হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে উত্তেজিত জনতা। তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন বলে পুলিশদের দাবি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতেই তাঁদের উপর গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই শ্রীলঙ্কার পথে-ঘাটে এই একই ছবি দেখা গিয়েছে। প্রতিবাদে নেমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য়ুর ঘটনা এর আগে ঘটেনি। এই প্রথম প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালাল শ্রীলঙ্কার পুলিশ।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির বেহাল দশা। ঋণে ডুবে রয়েছে গোটা দেশ। জ্বালানি তেলের ঘাটতির জন্য শ্রীলঙ্কার একাধিক জায়গায় বিদ্যুতের ঘাটতিও দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। অর্থনীতির এই দশায় খাবার, জ্বালানি,বিদ্যুত ঠিকভাবে না পেয়ে রাস্তায় প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে শ্রীলঙ্কাবাসী। এর আগে ভারত শ্রীলঙ্কায় ক্রেডিট লাইনে জ্বালানি তেল পাঠিয়েছিল। তাতে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও সেই জ্বালানিও শেষ হতে চলেছে। এই জ্বালানির ঘাটতি এবং চড়া দামের কারণেই এদিন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন লঙ্কাবাসী। কলম্বো থেকে ৯৫ কিমি দূরে শ্রীলঙ্কার রামবুক্কানার একটি হাইওয়ে বন্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় ১০ হাজার জন বিক্ষুব্ধ বাইক আরোহী এই হাইওয়ে অবরোধ করে রাখেন। সেখানে টায়ারও জ্বালানো হয়।
এই মোটরবাইক আরোহীরা কলম্বোতে দীর্ঘ ১১ দিন ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। দেশের এই বেহাল অর্থনীতির দশার জন্য লঙ্কা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর পদত্যাগের দাবি করেন। এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন দেশের প্রধান শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। ওষুধপত্র ও চিকিৎসার সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে তাঁরাও বিক্ষোভে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন : Boris Johnson : শেষমেশ ভুল স্বীকার, কোভিড লকডাউনের সময় পার্টি করায় পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী