ইস্তানবুল: ইস্তানবুল বিস্ফোরণের (Istanbul Blast) মূলচক্রীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার একথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু। এবার সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তুরস্কের পুলিশ জানিয়েছে, সিরিয়ার এক মহিলা সেখানে বোমা রেখেছিল। সে কুর্দিশ জঙ্গিদের জন্য কাজ করছিল। এদিকে ইতিমধ্যেই সেদেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এর্দোগান (Recep Tayyip Erdoğan) এবং তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াট ওকটে জানিয়েছিলেন, এক মহিলা এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। তবে প্রাথমিকভাবে তুরস্ক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি, ধৃত ব্যক্তি মহিলা না পুরুষ।
গতকালের বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গিযোগের সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এর্দোগান। বালিতে জি২০ সম্মেলনে যাওয়ার আগে এর্দোগান বলেছিলেন,’এই বিস্ফোরণ কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা কি না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের যোগের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’ আর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু এই বিস্ফোরণের জন্য কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি (Kurdistan Worker’s Party) কে দায়ী করেছেন। এবার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মহিলা স্বীকার করেছে, সে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে এই বিস্ফোরণের নির্দেশ পেয়েছিল।
রবিবার ইস্তানবুলের স্থানীয় সময় ৪ টে ২০ নাগাদ বিরাট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুল। ইস্তানবুলের তাকসিম স্কোয়ারের কাছে ইস্তিকলাল স্ট্রিটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী এই বিস্ফোরণে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮১ জন। বিস্ফোরণের মুহূর্তের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় লোকে লোকারণ্য় ছিল সেই সময় ইস্তিকলালের রাস্তা। আর বিস্ফোরণের পরই সেই ব্যস্ত এলাকা থেকে সবাই পালাতে শুরু করেন। বিস্ফোরণের পরই সেই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। সাইরেন বাজিয়ে সকলকে সতর্ক করা হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘আমি ৫০ থেকে ৫৫ মিটার দূরে ছিলাম। হঠাৎ করে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। তারপর মাটিতে তিন কি চারজনকে পড়ে থাকতে দেখি। সেখানে উপস্থিত লোকজন কী করবে বুঝতে না পেরে দৌড়োতে শুরু করে। ‘ তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ছিল। কালো ধোঁয়া দেখা যায়। আওয়াজ এত বেশি ছিল মনে হচ্ছিল বধির হয়ে যাব’।