ড্রেটন: আবহাওয়ার খামখেয়ালি বিপাকে কানাডার বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দা। পরিবেশের রোষ থেকে বাঁচতে ১৩ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই কানাডায় রেকর্ড গরম পড়েছে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে ওষ্ঠাগত হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। কানাডার পশ্চিমাংশে গরমের প্রভাব এতটাই বেশি সেখানে গ্রীষ্মের দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। কানাডার পশ্চিমাংশের থাকা জঙ্গলগুলিতে গরমের জেরে আগুন লেগেছে। বনাঞ্চলের সেই আগুন পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। আবার এই গরমের জেরে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মতো এলাকায় দ্রুত হারে গলছে বরফ। এর জেরে নদীগুলি ছাপিয়ে গিয়েছে। এবং বন্যা পরিস্থিতির তৈরি করেছে।
প্রচণ্ড গরমের জেরে কানাডার পশ্চিমাংশে বনাঞ্চলেও লেগেছে আগুন। সেখানকার আলবের্তা প্রদেশ থেকে শুক্রবার অবধি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৩ হাজারেও বেশি বাসিন্দাকে। বনাঞ্চল থেকে আগুন ছড়িয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বেশ কিছু বাড়ি-ঘরও। এমনকি ড্রেটন ভ্যালির প্রায় ৭ হাজার বাসিন্দাকেও নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আলবের্তা এলাকায় ৩৪৮টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে এ বছরে। এর জেরে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল পুড়ে গিয়েছে। এ নিয়ে আলবের্তো প্রদেশের এক অফিসার ক্রিস্টি টুকার বলেছেন, “অতীতের যে কোনও বছরের তুলনায় এ বছরে বনাঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি। এর জেরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে। আগুন নেভানোর কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি বন্যপ্রাণের উপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।”
কানাডার এক দিকে যখন গ্রীষ্মের দাবদাহে নাজেহাল অন্য প্রান্তে তখন ভাসিয়ে দিচ্ছে বন্যা। জানা গিয়েছে, অপ্রত্যাশিত গরমের জেরে দ্রুত হারে গলছে বরফ। এর জেরে নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে। যার জেকেই ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মতো এলাকায় বন্যা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে কানাডার সরকার।