COVID-19: ‘আরও দুর্বল হবে করোনা’, ভাইরাসের অভিযোজন নিয়ে সুখবর শোনালেন অক্সফোর্ড গবেষক

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 24, 2021 | 8:01 AM

COVID-19 Mutation: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক ডেম সারাহ গিলবার্ট জানান, এই ধরনের সংক্রামক ভাইরাসের অন্যতম ধর্মই হল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতা হারানো, তবে এর কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই যে ভাইরাস দুর্বল হতে কতদিন সময় লাগবে।

COVID-19: আরও দুর্বল হবে করোনা, ভাইরাসের অভিযোজন নিয়ে সুখবর শোনালেন অক্সফোর্ড গবেষক
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

লন্ডন: প্রায় দুই বছর হতে চলল করোনা (COVID-19) সংক্রমণের উৎপত্তির। মাঝখানের এই দীর্ঘ সময়ে একাধিকবার রূপ বদলেছে করোনা ভাইরাস, অভিযোজিত (Mutationof COVID-19) হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই মারণ ভাইরাসের রূপ বদলানোর তেমন সুযোগ আর নেই বলেই জানালেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার (Oxford-Astrazeneca COVID Vaccine) উৎপাদক।

দেশ তথা গোটা বিশ্বজুড়েই চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে জোরকদমে গণটিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক দেশ তাদের টিকাকরণ লক্ষ্য়মাত্রার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ভারতেও বর্তমানে ৮২ কোটিরও বেশি মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন। এত সংখ্যক মানুষের দেহে করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠায় ভাইরাস রূপ বদলানোর আর তেমন সুযোগ পাবে না এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলেই জানান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক ডেম সারাহ গিলবার্ট (Dame Sarah Gilbert)।

তিনি বলেন, “এই ভাইরাস সম্পূর্ণ রূপে অভিযোজন বা সহজ ভাষায় বলতে গেলে রূপ বদলাতে পারে না কারণ এর ভিতরে থাকা স্পাইক প্রোটিনকে মানবদেহের এসিই২ (ACE2) কোষের সঙ্গে মিলিত হতে হয় দেহে প্রবেশের জন্য। যদি ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে অতিরিক্ত পরিবর্তন হয়, বা সম্পূর্ণরূপে অভিযোজন হয়, তবে এটি ভাইরাস গ্রহণকারী ওই কোষের সঙ্গে আর সংযোগ স্থাপন করতে পারে না। ফলে অভিযোজিত ভাইরাস কোষের ভিতরেও প্রবেশ করতে পারে না। সুতরাং অভিযোজিত ভাইরাসের কোথাও আর তেমন যাওয়ার জায়গা নেই যেখানে সে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাকি দিতে পারবে।”

কোভিশিল্ডের অন্যতম আবিষ্কারকর্তা বুধবার একটি ওয়েবিনারে করোনা ভাইরাসকে অন্যান্য ফ্লু ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করে  বলেন, “ফ্লু ভাইরাসগুলি যেমন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়েছে, আগামিদিনে করোনা ভাইরাসের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটবে। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে করোনা ভাইরাসে ছোট ছোট পরিবর্তন হতে পারে। সেই সময় আমরা তা প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত থাকব।”

তিনি আরও জানান, এই ধরনের সংক্রামক ভাইরাসের অন্যতম ধর্মই হল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতা হারানো, তবে এর কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই যে ভাইরাস দুর্বল হতে কতদিন সময় লাগবে। আগামিদিনে করোনা ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়লেও তা অতি সাধারণ ফ্লু বা সর্দি-জ্বরে পরিণত হতে পারে বলে তিনি জানান।

তবে যতদিন না করোনা ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়ছে বা ভয়াবহ আকার ধারণ করার শক্তি হারাচ্ছে, ততদিন যাবতীয় সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই চলতে হবে বলে জানান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। তিনি বলেন, “ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তির পর বেশ অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে আর নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট আবিস্কৃত হবে না করোনা ভাইরাসের, যা অতি সংক্রামক রূপ ধারণ করবে। তবে একেবারেই যে অভিযোজন হবে না, তাও বলা চলে না। করোনা সংক্রমণ অতি সাধারণ ফ্লুতে পরিণত হওয়ায় আরও অনেক পথ বাকি।”

Next Article