Pakistan Army: চাষ করবে পাকিস্তানি সেনা, বন্দুক ছেড়ে ধরছে লাঙল!

Jan 26, 2024 | 9:28 AM

Pakistan Army corporate farming: যে হাতে তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারত লক্ষ্য করে গোলা ছোড়ে, সেই হাতেই জমিতে লাঙ্গল দেবে, বীজ বপন করবে, ফসল তুলবে। সেই দেশের সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশে কর্পোরেট ফার্মিং শুরু করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এর জন্য, সম্প্রতি 'মেসার্স গ্রিন কর্পোরেট (প্রাইভেট) লিমিটেড' নামে এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের চুক্তি করেছে পাক সেনাবাহিনী।

Pakistan Army: চাষ করবে পাকিস্তানি সেনা, বন্দুক ছেড়ে ধরছে লাঙল!
পঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশে কর্পোরেট ফার্মিং শুরু করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ইসলামাবাদ: দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি টাকার দাম একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়েছে। আর এপ সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক সংকট। এই জোড়া সংকটে বেহাল দশা পাকিস্তানের। ধুকতে থাকা দেশের হাল ফেরাতে এবার চাষ করতে নামছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যে হাতে তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারত লক্ষ্য করে গোলা ছোড়ে, সেই হাতেই জমিতে লাঙল দেবে, বীজ বপন করবে, ফসল তুলবে। সেই দেশের সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশে কর্পোরেট ফার্মিং শুরু করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এর জন্য, সম্প্রতি ‘মেসার্স গ্রিন কর্পোরেট (প্রাইভেট) লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের চুক্তি করেছে পাক সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল ফেরাতে যে ‘স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলিটেশন কাউন্সিল’ তৈরি করা হয়েছে, সেই কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকরা প্রায় ৫২ হাজার ৭১৩ একর অনুর্বর জমি চিহ্নিত করেছেন। ২০ বছরের জন্য ওই জমি সেনাবাহিনীকে লিজ দেওয়া হবে। তা দেখা-শোনা থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেনাবাহিনীর হাতে, তবে জমির মালিকানা সরকারের কাছেই থাকবে। গ্রিন করপোরেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড, লাভের ২০ শতাংশ স্থানীয় এলাকায় গবেষণা এবং উন্নয়নে ব্যয় করবে। ৪০ শতাংশ সরাসরি যাবে সরকারের ঘরে। লাভের অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ স্থানীয় পরিকাঠামো, সেচ, সৌরচালিত জল সরবরাহ প্রকল্প, স্কুল, হাসপাতালের মতো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ব্যয় করা হবে।

তবে কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কাজে এই জমি ব্যবহার করতে পারবে না পাক সেনা। চাষের পাশাপাশি ওই জমিতে কোনও ব্যবসা বা অন্য কার্যকলাপের অনুমতি নেই। জমি অধিগ্রহণের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তা জরিপ করা হবে। জমিটি কোনও সংরক্ষিত জমি কিনা কিংবা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্থান, জনবসতিপূর্ণ এলাকা, ম্যানগ্রোভ অরণ্য, বনভূমি, চারণভূমি, কবরস্থান, ঐতিহাসিক জলপথের মধ্য়ে পড়ে কিনা, তা দেখা হবে। স্থানীয় জনগণ যাতে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য একটি পরিচালন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এই বোর্ডের সদস্যরাই সব সিদ্ধান্ত নেবেন।

Next Article