Pakistan Energy Crisis: শ্রীলঙ্কার পর দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান, রাত ৮টাতেই নিভে যাচ্ছে আলো

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 05, 2023 | 6:35 PM

Pakistan Energy Crisis: বিদ্যুৎ ও শক্তি সঞ্চয় করতে পাকিস্তান সরকারের তরফে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল বাল্ব উৎপাদন বন্ধ করা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস অবধি বাল্ব উৎপাদন বন্ধ রাখা হবে।

Pakistan Energy Crisis: শ্রীলঙ্কার পর দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান, রাত ৮টাতেই নিভে যাচ্ছে আলো
ফাইল চিত্র

Follow Us

ইসলামাবাদ: আর্থিক অভাবে ধুঁকছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। সেখানে এতটাই অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে যে সিলিন্ডারে ভরে নয়, প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে গ্যাস (Gas) বিক্রি করা হচ্ছিল। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান সরকার। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হল শক্তি সংরক্ষণ (Energy Conservation) করতে এবার থেকে আগে মার্কেট, শপিং মল ও বিয়েবাড়ি আগেভাগে বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর্থিক অবস্থা পুনরুদ্ধারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার পাকিস্তানের ক্যাবিনেটের তরফে জাতীয় শক্তি সংরক্ষণ পরিকল্পনা বা ন্যাশনাল এনার্জি কনজারভেশন প্ল্যানে (National Energy Conservation Plan) সম্মতি দেওয়া হয়। বৈঠকে জানানো হয়, এবার থেকে আমদানি করা তেলের উপরে নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ বলেন, “এবার থেকে রাত সাড়ে আটটায় মার্কেট ও শপিং মলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিয়েবাড়িগুলিও রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। শক্তি সংরক্ষণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে আমাদের ৬০ বিলিয়ন (৬ হাজার  কোটি) অর্থ সঞ্চয় হবে।”

বিদ্যুৎ ও শক্তি সঞ্চয় করতে পাকিস্তান সরকারের তরফে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল বাল্ব উৎপাদন বন্ধ করা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস অবধি বাল্ব উৎপাদন বন্ধ রাখা হবে। এতে ২২ বিলিয়ন সঞ্চয় হবে সরকারের। গ্যাসের  ব্যবহার কমাতে বিকল্প হিসাবে কনিক্যাল গিজারের ব্যবহার করা হয়েছে এক বছরের জন্য। এই সিদ্ধান্তে সরকারের আরও ৯২ বিলিয়ন অর্থ সঞ্চয় হবে বলে জানানো হয়েছে। কমানো হবে স্ট্রিট লাইটের ব্যবহারও। এতে ৪ বিলিয়ন অর্থাৎ ৪০০ কোটি টাকা সঞ্চয় হবে।

পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও জানান, ন্যাশনাল এনার্জি কনজারভেশন প্ল্যানের অধীনে সমস্ত সরকারি বিল্ডিং ও অফিসগুলিতেও বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরকার নতুন নীতি আনবে যেখানে সমস্ত কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হবে।

জানা গিয়েছে, সে দেশে বিদ্যুতের সঙ্কট এতটাই চরমে উঠেছে যে দিনের বেলায় বৈঠক করা হয়। বৈঠকে কোনও লাইট জ্বালানো হয়নি। সূর্যের আলোতেই যাবতীয় কাজ চালানো হয়।
Next Article