ইসলামাবাদ: একের পর এক সমস্যার মুখোমুখি পাকিস্তান। একদিকে যেমন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গদিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে এবার পাকিস্তানি সেনার প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা এনএবি পাক সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ফোর স্টার জেনারেল এহসান সালিম হায়াত এবং তার লজিস্টিক সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনি ক্রুড ওয়েলের ব্যবসা করা অভিযোগে তদন্ত নেমেছিল এবং সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারের অভিযোগ ছিল, এই বেআইনি ব্যবসার ফলে প্রত্যেকদিন পাকিস্তানের জাতীয় কোষাগার থেকে ২ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছিল।
এই নিয়ে একটি পিটিশনও জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই পিটিশনের সঙ্গে যে যে নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মোট ১৭ জন এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। পিটিশন অনুযায়ী ওই সেনা জেনারেলের সঙ্গে দু’জন লেফট্যান্ট কর্ণেল, ৩ জন মেজর, বিভিন্ন পদমর্যাদার ৬ জন জওয়ান ও ৪ জন সাধারণ নাগরিক ২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি এই মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। প্রাক্তন মেজর আক্রম রেজা ২০১৫ সালে লাহোর হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে ও সেনা আধিকারিকদের বেআইনি ক্রুড ওয়েল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছিল, কারণ তাদের বেআইনি ব্যবসার ফলে জাতীয় কোষাগার থেকে প্রত্যেকদিন প্রায় ২ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছিল।
লাহোর হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করে রেজা জানিয়েছিলেন, তিনি কোনওভাবেই এই বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে বেশি জড়িত নন এবং যাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তিনি তাদের মধ্যেও ছিলেন না। তাঁর দাবি ছিল ক্রুড ওয়েল চুরি বা বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও তাঁকে অকারণে গ্রেফতার করে আটক করে রাখা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, এই বেআইনি কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত তিনি তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে দোষ স্বীকার করে নেওয়ার জন্য ন্যাশানাল লজিস্টিক সেলের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বাধ্য হয়ে তা এনএবি কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন। কর্তৃপক্ষ এখন ঘটনার তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন Tumbler In Bladder: তীব্র যৌন ইচ্ছাই হল কাল! মহিলার ব্লাডার থেকে এটা কী পাওয়া গেল? হতবাক সকলে