ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১২১ টির কাছাকাছি মামলা ঝুলছে পাকিস্তানে। সম্প্রতি আল কাদির ট্রাস্ট জমি মামলায় আদালত চত্বর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের রেঞ্জার্স বাহিনী। তাঁর গ্রেফতারির পরেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, এই গ্রেফতারি বেআইনি। তাঁকে অবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে। শুধু একটি বা দুটি নয়। ইমরানের বিরুদ্ধে একশোর বেশি মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে অন্যতম হল তোশাখানা মামলা। বেশিরভাগ মামলাতেই জামিন পেয়ে জেলের বাইরে দিন কাটাচ্ছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে পাক সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধেই খড়গহস্ত হয়েছে পাক প্রশাসন। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের বিরুদ্ধে ইমরান খানকে প্রয়োজনের থেকে বেশি ছাড় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে শেহবাজ় প্রশাসন। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। তাঁর
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এআরওয়াই নিউজের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের বিরুদ্ধে রেফারেন্স দাখিলের জন্য সোমবার পাকিস্তানের ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব পাস করেছে। গতকাল পাকিস্তানের নিম্নকক্ষে অধিবেশন চলাকালীন এই প্রস্তাব পাশ করা হয়। এই প্রস্তাব পাশ করার আগেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, পার্লামেন্টকে নিজের অবস্থান রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের একটি অংশ দুর্নীতির মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ‘নজিরবিহীন ছাড়’ দিচ্ছে।
এদিকে ইমরান খানের গ্রেফতারির পরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁর সমর্থনকারীরা। চলে ভাঙচুর। লাহোরে সেনা কমান্ডারের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। ন্যাশনাল অ্য়াসেম্বলিতে এই ঘটনার নিন্দা জানান বিরোধী দলনেতা রাজা রিয়াজও। তিনি বলেন, যাঁরা সেনা কমান্ডারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তাঁরা এই দেশের শত্রু। ‘মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান’ -র সদস্য সালাহউদ্দিনও বলেন, সাম্প্রতিক এই সহিংস কর্মকাণ্ড অসহনীয়। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ‘ছাড়’ দিচ্ছে। এদিকে তাঁর নির্দেশেই সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। ইমরান খানের গ্রেফতারি অবৈধ ঘোষণার পর তা আরও চওড়া হয়েছে।