ইসলামাবাদ: পড়শি দেশ, পাকিস্তানে আবার মারণ রোগের কোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য এমার্জেন্সি ঘোষণার পরদিনই পাকিস্তানে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খোঁজ মিলল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে তিনজন এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের খোঁজ মিলেছে। এরপরই দেশে শুরু হয়েছে শোরগোল, ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
সুইডেনের পর এবার পাকিস্তানে খোঁজ মিলল মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের খোঁজ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখা প্রদেশ থেকে অতি সংক্রামক এক রোগে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে পাকিস্তানে এসেছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরআই নিউজের তথ্য অনুযায়ী, পাক স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ৩৪ বছরের এক যুবক গত ৩ অগস্ট সৌদি আরব থেকে ফেরেন। পেশওয়ারে কয়েকদিন থাকার পরই তাঁর উপসর্গ দেখা দেয়, খাইবার মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা করালে, তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার ফলেই ওই যুবক আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা বিমানের সমস্ত যাত্রীদের পরীক্ষা করা হবে।
এর আগে ২০২৩ সালেও পাকিস্তানের করাচি জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। ১১ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল গত বছর।
চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এমপক্সকে গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি ঘোষণা করে। এই নিয়ে বিগত দুই বছরে দ্বিতীয়বার এমপক্স-কে এমার্জেন্সি হিসাবে ঘোষণা করা হল। জানা গিয়েছে, কঙ্গো থেকে এবার এমপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়েছে, যা দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১২২টি দেশে মোট ৯৯ হাজার ৫১৮ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে মাঙ্কিপক্সে।
আক্রান্তের সংস্পর্শে এলেই ছড়ায় মাঙ্কিপক্স। এর উপসর্গ হল জ্বর, গায়ে র্যাশ, সারা গায়ে যন্ত্রণা। সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ থাকে এই সংক্রমণ। তবে আক্রান্তদের মধ্য়ে ৯৯ শতাংশই সুস্থ হয়ে ওঠে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)