ইসলামাবাদ: সমুদ্রের অতলে যাওয়ার কথা শুনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর একেবারেই টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কেবল ‘ফাদার্স ডে’ (Father’s Day)-র উপহার দিতেই বাবার কথায় রাজি হয়ে যান বছর উনিশের সুলেমান দাউদ। তাঁর বাবা পাকিস্তানের কোটিপতি বছর আটচল্লিশের শাহজাদা দাউদ। কিন্তু, ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেই যাওয়া-ই কাল হল সুলেমানের। বাবার সঙ্গে সমুদ্রের অতলেই সলিল সমাধি হল দু-চোখে একরাশ স্বপ্ন ভরা সুলেমান দাউদের। টাইটান ধ্বংসের খবর পেয়ে আক্ষেপের সুরে এমনই জানান সুলেমানের পিসি আজমেহ দাউদ। বাবা-ছেলের একসঙ্গে মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দাউদ পরিবারে।
জানা গিয়েছে, আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা শাহজাদা ব্রিটেনে পড়াশোনা করেছেন এবং ব্রিটিশ মহিলাকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতেন। সুলেমান ছাড়াও তাঁর এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা ব্রিটিশ নাগরিক। শাহজাদার ফোটো তোলার নেশা ছিল। সেই নেশার জন্যই বিভইন্ন জায়গায় ছুটে যেতেন তিনি। আর সুলেমানের বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক ছিল। তবে জলের তলায় যাওয়ার ব্যাপারে আতঙ্কিত ছিলেন তিনি।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহজাদা দাউদের বোন আজমেহ দাউদ বলেন, “সুলেমানের জলের নীচে যাওয়ার আতঙ্ক ছিল। সে টাইটান-এ যেতে চায়নি। কেবল বাবার কথায় ফাদার্স ডে-র উপহার দিতে রাজি হয়েছিল সুলেমান। কিন্তু, আর ফিরল না।”
পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন শাহজাদা দাউদ । পাকিস্তানে শক্তি, কৃষি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। আবার দাউদ পরিবারের তরফে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দাউদ ফাউন্ডেশন পাকিস্তানে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করে। এই সংস্থার তরফে শাহজাদা ও সুলেমানের মৃত্যুর খবরটি ঘোষণা করে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পাশাপাশি ব্রিটেন ও আমেরিকাতেও ব্যবসা রয়েছে শাহজাদা দাউদের। ক্যালিফোর্নিয়ার এক সংস্থা (SETI)-র ট্রাস্টি ছিলেন তিনি। এই সংস্থার তরফেও বাবা ও ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।