ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে তুঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা। দীর্ঘ টালবাহানার পর গত মাসের ২৮ তারিখ পাক জাতীয় সংসদে (National Assembly) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হয়েছিল। ৩ এপ্রিল অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নয়া কৌশলে তা এড়িয়ে যেতে পেরেছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। অধিবেশন চলাকালীন সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Prime Minister) এবং পাকিস্তানের জনতার মত নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচের আর্জিও গৃহীত হয়েছিল। পাকিস্তানে এবার অকাল ভোটের সম্ভাবনা জোরাল। এই রাজনৈতিক অরাজক অবস্থাতেই ইস্তফা দিলেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফ। পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ইস্তফার পর পাকিস্তানের রাজনীতি নতুন করে প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে।
সোমবার টুইট করে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি সকলকে জানিয়েছিলেন ইউসুফ। “আজ অত্যন্ত সন্তোষজনক পরিস্থিতিতে আমি এই গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিচ্ছি। আমি জানি এনএসএ-র কার্যালয় এবং এনএসডি অত্যন্ত সক্ষম প্রতিষ্ঠান। ব্যতিক্রমী কাজ করতেই এরা অভ্যস্ত। আমর বিশ্বাস পাকিস্তানকে এরা আরও গর্বিত করবে।” টুইট করেন ইউসুফ। এই গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের হয়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর দফতর, জাতীয় নিরাপত্তা ডিভিশনের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শুধুমাত্র একটি টুইট করেই তিনি থেমে থাকেননি। তাঁর টুইটারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে টুইট ছিল। “হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তি এমন উচ্চ পদে থেকে দেশের হয়ে কাজ করার সুযোগ পায়। এবং আমার বয়সী কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ার নজির খুব একটা নেই। তবে আল্লাহর আর্শীবাদে আমি শুধু এই সুযোগই পাইনি বরং দারুণভাবে আড়াই বছর দেশের হয়ে সঠিক কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে এই সময়টা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।” বলেন ইউসুফ। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণার পরই এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেছিলেন, তাই ইস্তফা দিয়ে তিনি ইমরানে প্রতি আনুগত্য দেখালেন বলেই মনে করছে অনেকে।
আরও পড়ুন Bangladesh Economy: তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা, নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে তো বাংলাদেশ?