ইসলামাবাদ : শনিবার মধ্যরাতে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আস্থা ভোটে হেরে যান ইমরান খান। আর সেই ভোটাভুটি সম্পন্ন হতেই প্রায় স্পষ্ট হয়ে যায় পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মুসলিম লিগ নওয়াজের প্রধান তথা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ় শরিফ। বিশ্ব মঞ্চে সেই অর্থে পরিচিতি না থাকলেও পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় শাহবাজ়। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ়। এহেন রাজনীতিবিদের পুরোনো কিছু ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল ‘মিম’-এ পরিণত হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ভাষণ দিতে দিতে মঞ্চ থেকে মাইক ভেঙে ফেলে দিলেন শাহবাজ়।
পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক নেতাকে নিয়েই হাসি ঠাট্টা হয়ে থাকে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো হোক কি সদ্য প্রাক্তন হওয়া ইমরান খান, বিভিন্ন সময়ে এই নেতাদের বক্তব্যের ক্লিপৃ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এবার মিম হওয়ার পালা পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর। এক টুইটার ব্যবহারকারী ভাইরাল ভিডিয়ো শেয়ার করে লেখেন, ‘বিনোদোনের এখনও খামতি হবে না।’ অপর এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মাইক তোড় পারফর্ম্যান্স।’
Entertainment will continue in Pakistan. Meet Shahbaz Sharif Next PM of Pakistan & his Highly Entertaining Hand Movements ?? #ShahbazSharif #ImranKhan pic.twitter.com/8jSGMsTUDz
— Rosy (@rose_k01) April 9, 2022
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে ১২ বছর কাটানো শাহবাজ় ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে মনোয়ন এবং জরুরি নথি পেশ করেছেন পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সচিবালয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে পিটিআই-এর তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। সোমবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেওয়া হবে। আস্থা ভোটের পরিসংখ্যান দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রায় নিশ্চিত যে আগামী দেড় বছরের জন্য পাকিস্তানের ‘ওয়াজির-এ-আজম’ হচ্ছেন শাহবাজ়ই।
এদিকে টুইটার ব্যবহারকারীরা শাহবাজ়কে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করলেও এখন তাঁরই হাতে পাকিস্তানের ভবিষ্যত সপতে চলেছেন বিরোধীরা। ইমরান পরবর্তী পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব এখন শেহবাজের উপর। আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের যে সম্পর্কের চিড় ধরেছে, তা মেরামত করা ছাড়াও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার মতো কঠিন কাজ করতে হবে শাহবাজ়কে। এদিকে আফগানিস্তানে তালিবানের বাড়বাড়ন্ত, ডুরান্ড লাইনে তালিব যোদ্ধাদের হামলাও তাঁর মাথা ব্যথার কারণ হবে। তাছাড়া ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্ক ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে শেহবাজের কী অবস্থান হতে চলেছে, তার দিকে নজর থাকবে নয়াদিল্লির।