ঢাকা: মহালয়ার পর এখন বাংলাদেশে চলছে র্দুগাপূজার শেষ মুর্হূতের প্রস্তুতি। আর কয়েকদিন বাদেই দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার আগমন ঘিরে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিমালয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণ রুপ পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব প্রতিমা। শান্তিপূর্ণ দুর্গোৎসব উদযাপনে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন আয়োজকরা।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ার ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এই উৎসব ঘিরে বাংলাদেশের পূজা মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা কারিগরদের। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁদের। খড় আর কাদামাটির মিশ্রণে দুর্গার পূর্ণ অবয়ব তৈরিতে ব্যস্তকারিগররা। মৃৎশিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণ রুপ পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব দেবী প্রতিমা। মৃৎশিল্পীরা বলেন, শেষ সময়ে ব্যস্ততা বেড়েছে তাঁদের। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন পুরোদমে।
প্রতিবারের মতো এবারেও আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব উদযাপন করতে চান দর্শনার্থীরা। দুর্গোৎসব উদযাপনে প্রশাসনের কাছে কঠোর নিরাপত্তা দাবি করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদ।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন আয়োজকরা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দুর্গোৎসবে কাজ করবে স্বেচ্ছাসেবক টিম। পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা বলছেন, পূজা উদযাপনে প্রশাসন-সহ সবার সহযোগিতা পাচ্ছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলে এবার ভিন্ন এক আতঙ্ক আর শঙ্কা কিন্তু রয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালয়ুদের মনে। গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে পালাবদলের পর কেউ কেউ চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে। কোথাও কোথাও মন্দিরে হামলারও ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই আশঙ্ক করছেন, প্রশাসন তৎপর না হলে ঘটতে পারে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যদিও এখনও তেমন কোনও ঘটনা গঠেনি।