Donald Trump: প্রথমে ১৫০, তারপর ২৫০! ট্রাম্পের এক সিদ্ধান্তে রোগীদের জীবন নিয়ে শুরু হবে টানাটানি
Donald Trump: বলেছিলেন, না তার নির্দেশ অমান্য হলে জরিমানা চাপাবেন। এবার হয়তো সেই সময়ই চলে এল। পাশাপাশি, পরের সপ্তাহে সেমিকন্ডাক্টর ও চিপেও শুল্ক বাড়ানো ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।

ওয়াশিংটন: ট্রাম্পের খাঁড়া এবার পড়বে ওষুধের উপরেও। নাকানিচোবানি খেতে হবে সাধারণ মানুষকে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়ম সিএনবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা আপাতত ওষুধের উপরে সামান্য কিছু শুল্ক চাপিয়েছি। কিন্তু এক থেকে দেড় বছরের মধ্য়ে এই সমীকরণটা বদলে যাবে।”
এরপরেই ট্রাম্পের সংযোজন, “সমস্ত ওষুধ এবং ওই সংক্রান্ত পণ্যের উপর প্রথমে ১৫০ শতাংশ, তারপর ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানো হবে।” কিন্তু এর ফলে সব থেকে বেশি ভুগবেন মার্কিন নাগরিকরাই। একেই ওই দেশে চিকিৎসার খরচ আকাশছোঁয়া। তার মধ্যে ওষুধের উপর বাড়তি শুল্ক বিপাকে ফেলবে রোগী পরিবারগুলিকেই।
ট্রাম্প বলেন, আসলে এই উদ্যোগ দেশের অন্দরে ওষুধ তৈরির পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য। এর আগেও বিশ্বমানের একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাকে দেশে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তার নির্দেশ অমান্য হলে জরিমানা চাপাবেন। এবার হয়তো সেই সময়ই চলে এল। পাশাপাশি, পরের সপ্তাহে সেমিকন্ডাক্টর ও চিপেও শুল্ক বাড়ানো ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
দ্বিতীয়বার মার্কিন মসনদে বসতেই ট্রাম্প সরব হয়েছিলেন এই ওষুধের উপর শুল্ক চাপানো নিয়ে। বিদেশ থেকে ওষুধ আমদানি বন্ধ করে, এই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য়ের ক্ষেত্রে আমেরিকাকে ‘স্বনির্ভর’ করে তোলা বার্তা দেন তিনি। যাতে ট্রাম্পের হাতিয়ার হয় শুল্ক।
এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি সত্যি ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধি করেন, তা হলে তার প্রভাব পড়বে ভারতের উপরেও। আমেরিকাই হল ভারতের ওষুধ এবং ওই সংক্রান্ত পণ্যের রফতানির ক্ষেত্রে অন্য়তম বড় বাজার। ফলে হোয়াইট হাউসের ফার্মা-সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলবে ভারতের বাণিজ্যে। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যের ওষুধ বিশ্বজুড়ে রফতানি করেছিল ভারত। যার মধ্য়ে ৩১ শতাংশ গিয়েছিল আমেরিকা। যার আবার বাজার মূল্য় তৎকালীন সময় অনুযায়ী, ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের অধিক।

