ওয়াশিংটন: বৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে ভারত ও আমেরিকার প্রয়োজন ‘পাইপলাইন অব ট্যালেন্ট’, অর্থাৎ, প্রতিভার ভান্ডার। মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রণে বুধবার (২১ জুন), ওয়াশিংটনের ন্য়াশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ‘স্কিলিং ফর ফিউচার ইভেন্ট’ নামে এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে মিলিত হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, আমেরিকায় বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি রয়েছে। আর ভারতে রয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় ‘যুব ফ্যাক্টরি’, অর্থাৎ, যুব জনগোষ্ঠী। তিনি আরও বলেন, ভারত-আমেরিকা দুই দেশের কাছেই অন্যতম অগ্রাধিকারের বিষয় শিক্ষা এবং কর্মীশক্তি। শিক্ষা, গবেষণা এবং নতুন নতুন ব্যা স্থাপনে উৎসাহ দেওয়ার জন্য, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগগুলি নেওয়া হয়েছে, সেগুলিও এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারত সরকারের দক্ষতা উন্নয়নের প্রকল্পের কথা জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন। জাতীয় শিক্ষা নীতির আওতায় শিক্ষা এবং দক্ষতাকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি জানান, স্কিলিং মিশনের আওতায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় দেড় কোটি মানুষকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর লক্ষ্য চলতি দশককে ‘প্রযুক্তি দশকে’ পরিণত করা।
প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকায় স্বাগত জানিয়ে দিল বাইডেন বলেন, “আমি জানি আপনার কাছে শিক্ষার উপর আপনি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেন। আমিও তাই। সকল ভারতীয়, বিশেষ করে মহিলারা যাতে আধুনিক কর্মশক্তিতে যোগ দিতে পারে, তার জন্য তাদের শিক্ষা এবং দক্ষতার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে আপনার সরকার। তাই, আমাদের বিভিন্ন স্কুলে এবং শিল্পক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের জন্য, আমরা কী ধরণের উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরি করেছি, সেটা আপনাকে দেখানো গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “অর্থনীতিকে মজবুত করতে হলে যুবদের উপর লগ্নি করতে হবে। তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারা যাতে প্রাপ্য সুযোগ পায়, আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে।”