নয়া দিল্লি: ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর), ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি এই খবর জানিয়েছেন। নয়া দিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল। সেই সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পরবর্তী প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। এমনটই জানিয়েছেন এরিক গার্সেটি।
এর আগে ২০১৮ সালে, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু, দেশে আগে থেকে নির্ধারিত ব্যস্ততা থাকায়, সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার আগে, ২০১৫ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নয়, কোয়াড গোষ্ঠীর সকল রাষ্ট্রপ্রকধানদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করেছিল ভারত সরকার। অর্থাৎ, জো বাইডেনের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রীদর। শেষ পর্যন্ত তাঁদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে, নাকি শুধুই বাইডেন আসবেন প্রধান অতিথি হয়ে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে কানাডার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ হল কানাডা। এদিন ভারত-কানাডা সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন গার্সেটি। তাঁর মতে, সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করার আগে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “কানাডা আমাদের প্রিয় মিত্র, অংশীদার এবং উত্তরের প্রতিবেশি। ভারতের প্রতি সম্পর্ককে আমরা যতটা গুরুত্ব দিই, কানাডার সঙ্গে সম্পর্ককেও আমরা ততটাই গুরুত্ব দিই। আমি মনে করি, এখন যা চলছে তা, ভারত-কানাডার সম্পর্কের আসল ছবি নয়। তবে এই ধরনের ঘটনায়, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নের গতি থমকে যায়। আশা করি ফৌজদারি তদন্তের মাধ্যমে, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনও সিদ্ধান্ত টানার আগে ভালভাবে তদন্ত করা উচিত।”