ভ্যালেন্সিয়া: মৃতদেহ বিক্রির চক্র ফাঁস করল পুলিশ। কবরে মৃতের পরিজনরা দেহ চাপা দিয়ে যান। সেই সমাধিতে এসে প্রিয়জনকে স্মরণ করেন। কিন্তু কবরস্থান কর্তৃপক্ষ কবর থেকে দেহ তুলে বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন পরীক্ষাগারে। মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে এই সব মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ব্যবহার করা হয়েছে। লক্ষাধিক টাকায় এক একটি দেহ বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই খবর পেয়েই তদন্তে নেমে মৃতদেহ বিক্রির পর্দাফাঁস করেছে স্পেনের পুলিশ।
স্প্যানিশ পুলিশ জানিয়েছে, সে দেশের ভ্যালেন্সিয়ার একটি কবরস্থান থেকে দেহ তুলে বিক্রি করা হচ্ছিল। ওই কবরস্থানের দুই মালিক এবং দুই কর্মীর উপর পুলিশের সন্দেহ হয়। তাঁরাই দিনের পর দিন এই কাজে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। সাধারণত যে সব মৃতদের পরিবারের কেউ নেই, বেছে বেছে তাঁদের দেহ তুলেই অভিযুক্তরা বিক্রি করত বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সব দেহ বিক্রি করা হত, মূলত শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহারের জন্য এ গুলি কিনত ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কোনও কোনও শিক্ষাপ্রতিস্থানে কবরস্থানের কর্মীরা দেহের ব্যবচ্ছেদ করেও দেখাতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১১টি দেহ বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। মোট কত দেহ বিক্রি করা হয়েছে তা তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রতিটি দেহ ১২০০ থেকে ১৩০০ ইউরোর দামে বিক্রি করা হত। যা ভারতীয় মুদ্রায় এক লক্ষা টাকারও বেশি। এ বিষয়ে অভিযোগ আসার পর থেকে ২০২৩ সালেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে চক্র ফাঁস হল।