Portal to Hell: খুব সাবধান! খুলে গিয়েছে ‘নরকের দ্বার’, কোন বিপদ ধেয়ে আসবে এবার?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Apr 16, 2022 | 12:38 PM

Portal to Hell: লেক বেরিয়েসায় জল ধারণ ক্ষমতা ৫২০ কোটি গ্যালন। এর থেকে বেশি পরিমাণ জল জমা হলেই তা ওই 'পোর্টাল টু হেলে'র ভিতরে ঢুকতে থাকে।

Portal to Hell: খুব সাবধান! খুলে গিয়েছে নরকের দ্বার, কোন বিপদ ধেয়ে আসবে এবার?
এই সেই নরকের দ্বার। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত।

Follow Us

ক্যালিফোর্নিয়া: ফের খুলে গিয়েছে নরকের দ্বার (Portal to Hell)। এবার কি ধেয়ে আসবে বড় কোনও বিপদ? ক্যালিফোর্নিয়া (California)-র পূর্বে অবস্থিত নাপা ভ্যালি(Napa Vally)-তেই দেখা গিয়েছে এই অদ্ভুত নিদর্শন। বহু বছর ধরেই এই স্থানকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড় হয়। তবে সম্প্রতিই লেক বেরিয়েসা জলাধারের (Lake Berryessa reservoir) মাঝেই এই অদ্ভুত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এই গর্ত দেখা গিয়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বহু বছর ধরেই অদ্ভুত এই প্রাকৃতিক নিদর্শনের সাক্ষী থাকছেন। ১৯৫০ সাল প্রথম এই রহস্যময় গর্ত নজরে আসে। স্থানীয়রা সেই সময় থেকেই এটিকে ‘পোর্টাল টু হেল’ বা নরকের দ্বার হিসাবে নাম দেন। অন্যদিকে, পর্যটকদের মধ্যে এটি ‘গ্লোরি হোল’ নামেও পরিচিত।

নরকের দ্বারের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কোন রহস্য?

জানা গিয়েছে, ১৯৫০ সালে নাপা ভ্যালির জলাধারে বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। বাঁধে জলের ধারা বজায় ও নিয়ন্ত্রণ করতেই বিকল্প কয়েকটি সুড়ঙ্গ বানানো হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেখানেই জলাধারের মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়, যেখানে জল ঘূর্ণিপাক খেয়ে ভিতরের দিকে নেমে যায়।

লেক বেরিয়েসায় জল ধারণ ক্ষমতা ৫২০ কোটি গ্যালন। এর থেকে বেশি পরিমাণ জল জমা হলেই তা ওই ‘পোর্টাল টু হেলে’র ভিতরে ঢুকতে থাকে। ২০১৮ সালেই ১১ বছরে প্রথমবার ওই জলাধার পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে ফের একবার ওই জলের মাঝে সুড়ঙ্গপথ খুলে যায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর।

কীভাবে এই গ্লোরি হোল তৈরি হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি জলাধারের জলস্তর স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বেশি হয়ে যায়, তখন ওই গর্তে ঘূর্ণি তৈরি হয়। ৭২ ফিট চওড়া ও ২৪৫ ফিট লম্বা ওই সুড়ঙ্গটি মূলত ড্রেন হোল হিসাবেই কাজ করে। প্রতি সেকেন্ডে ওই গর্ত আনুমানিক ৪৮ হাজার কিউবিক ফিট জলকে ‘গিলে’ নিতে পারে। এরফলেই জলাধারের উপরিতল বা পৃষ্ঠতলে ঘূর্ণি তৈরি হয়।

ক্যানিফোর্নিয়ার ‘পোর্টাল ফ্রম হেল’-র মতোই কাজ়াকিস্তানেও একই নামের একটি গর্ত রয়েছে, যেখান থেকে আগুন বের হয়। ১৯৭০ সালে সোভিয়েতের গ্যাস ড্রিলিং অভিযানের সময় ওই গর্ত তৈরি হয়েছিল এবং সেখান থেকে আগুন বের হতে থাকে। কারাকুম মরুভূমির কাছে ওই গর্তটি রয়েছে।

Next Article