Bangladesh Rising Poverty: হাসিনার আমলে তাও ভাল ছিল, ইউনূসের হাতে পড়ে ‘সব হারাল’ বাংলাদেশ? বলছে রিপোর্ট

Avra Chattopadhyay |

Mar 25, 2025 | 10:08 PM

Bangladesh Rising Poverty: নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনও রয়ে গিয়েছে অধরাই। আর সেই অধরা স্বপ্নের বাংলাদেশে তৃণমূল স্তরে লুকিয়ে থাকা 'সত্যিটা' তুলে ধরেছে এই একটি রিপোর্ট।

Bangladesh Rising Poverty: হাসিনার আমলে তাও ভাল ছিল, ইউনূসের হাতে পড়ে সব হারাল বাংলাদেশ? বলছে রিপোর্ট
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Tv9 Graphics

Follow Us

ঢাকা: রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাসিনার সরকারের পতনের কারণ অবশ্যই কোটা সংস্কার আন্দোলন, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই আন্দোলন ছিল একটা মাধ্যম। দেশের অন্দরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাড়ন্ত মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্রতা সব নিয়েই একটা চাপা ক্ষোভ বেড়ে উঠেছিল মানুষের মনে। আর সেই ক্ষোভ ফেটেছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হাত ধরে।

সেই ঘটনা হয়ে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। এতদিনে পদ্মা হয়ে বয়ে গিয়েছে কত জল। নতুন সরকার তৈরি হয়েছে। নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে দেশের দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষের বেহাল দশা কি কেটেছে? যে স্বপ্ন নিয়ে, যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছাত্ররা পথে নেমেছিল, সেই স্বপ্ন বা প্রতিশ্রুতি কোনওটাই কি পূরণ হয়েছে?

রিপোর্ট বলছে, না হয়নি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনও রয়ে গিয়েছে অধরাই। আর সেই অধরা স্বপ্নের বাংলাদেশে তৃণমূল স্তরে লুকিয়ে থাকা ‘সত্যিটা’ তুলে ধরেছে এই একটি রিপোর্ট।

কী রয়েছে সেই রিপোর্টে?

বাংলাদেশে আগের তুলনায় দারিদ্র্যের হার ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে বলেই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট। ওই দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা BIDS তরফে প্রকাশ করা হয়েছে এই রিপোর্টটি।

যেখানে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে গোটা দেশজুড়ে দরিদ্রের হার ছিল ১৮.০৭ শতাংশ। যা এই ইউনূস আমলে এসে ঠেকেছে ২৩.১১ শতাংশে। BIDS-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, শহরে দরিদ্রের হার আগে ছিল ১৪.৭ শতাংশ। যা ২০২৪-এ এসে ঠেকেছে ২০.৪৩ শতাংশে। গ্রামেও হাল একই। সেখানে গত দু’বছরে দারিদ্রতা বেড়েছে ৪ শতাংশ। আগে ছিল ২০ শতাংশ। এখন হয়েছে ২৪ শতাংশ। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ছিল ৩৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে পৌঁছে গিয়েছে ৪৬ শতাংশে।

বলে রাখা ভাল, এই সমীক্ষা কিন্তু শুধু একা BIDS করে না। জানা গিয়েছে, তাদের সমীক্ষায় সাহায্য করে থাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও (World Food Programme)।