লন্ডন: সদ্য রানিকে হারিয়েছে ইংল্যন্ড। রাষ্ট্রীয় শোক পালন শেষ হতেই ধীরে ধীরে সকলে ফিরে যাচ্ছেন পুরাতন জীবনে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের পরই বদলে গিয়েছে রাজপরিবারের চিত্রটাও। রাজার গদিতে বসেছেন এতদিন ধরে প্রিন্স থাকা চার্লস। বাকি সদস্যদেরও পদে পরিবর্তন এসেছে। আকস্মিক এই পরিবর্তনে কিন্তু বেজায় খুশি একজন। সমস্ত বন্ধুদের কাছে সে বলে বেড়াচ্ছে, ‘এবার রাজা হবে আমার বাবা’। এই খুদে সদস্য আর কেউ নন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রো-প্রৌত্র প্রিন্স জর্জ। বাবার ঠাকুমাকে হারানোর কষ্টের থেকেও তাঁর কাছে এখন আকর্ষণের বিষয় হল রাজগদিতে বাবার অধিকার।স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে বচসা হতেই নয় বছরের প্রিন্স তাঁর বন্ধুদের সতর্ক করেছেন যে ঠাকুর্দার পরে এবার রাজগদিতে অধিকার তাঁর বাবার। সুতরাং তারা যেন সামলে চলে।
খুদে প্রিন্সের এ হেন আচরণে একদিকে যেমন হাসির রোল উঠেছে, তেমনই আবার অনেকে মনে করছেন যে অত্যন্ত কম বয়স থেকেই রাজ পরিবারের নিয়ম-কানুনের বেড়াজালে বেড়ে ওঠায় প্রিন্স জর্জের মধ্যে রাজ পরিবার নিয়ে অহংবোধ তৈরি হয়েছে। বন্ধুদের কাছে নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করতেই সে নিজের ও বাবার ক্ষমতা ও রাজপরিবারে অবস্থান জাহির করছে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণের পর ব্রিটেনের রাজগদিতে বসেছেন চার্লস। প্রিন্স থেকে তাঁর উপাধি পরিবর্তিত হয়েছে রাজা তৃতীয় চার্লসে। এদিকে, প্রিন্স চার্লস রাজা হয়ে যেতেই পদোন্নতি হয়েছে তাঁর বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামেরও। প্রিন্স অব ডিউক থেকে তিনি প্রিন্স অব ওয়েলস উপাধি পেয়েছেন। উল্লেখ্য, রাজগদির উত্তরাধিকারীই এই প্রিন্স অব ওয়েলস উপাধি পান।
প্রিন্স উইলিয়াম রাজগদির প্রথম উত্তাধিকারী হওয়ায়, রাজপরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর প্রথম সন্তান প্রিন্স জর্জ ব্রিটেনের রাজগদির দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী হয়ে গিয়েছে। নিজের এই ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি টের পেতেই দক্ষিণ লন্ডনের স্কুল থমাস ব্যাটারসি, যেখানে প্রিন্স জর্জ পড়েন, সেখানের বন্ধুদের কাছে জাহির করে বেড়াচ্ছেন।