অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার ৪-৫ মাস পরই উধাও প্রতিরোধ ক্ষমতা, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষকদের হাতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 25, 2021 | 6:19 PM

দুটি ডোজ নেওয়ার ৫-৬ মাসের মধ্যেই কার্যকারিতা চলে যায়। ব্রিটেনের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার ৪-৫ মাস পরই উধাও প্রতিরোধ ক্ষমতা, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষকদের হাতে
ফাইল ছবি

Follow Us

লন্ডন: ভ্যাকসিনকে সুরক্ষা কবচ হিসেবেই বারবার উল্লেখ করছেন গবেষকরা। ১০০ শতাংশ না হলেও দুটি ডোজ় নেওয়া হলে করোনার বিরুদ্ধে বেশ কিছুটা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় শরীরে। কিন্তু দুটি ডোজ়ই কি শেষ কথা? নাকি বুস্টার ডোজ় দিলেই তবেই সংক্রমণ আটকানো সম্ভব? এই প্রশ্নই উঠছে। এ আর ব্রিটেনের এক গবেষণায় দেখা গেল, দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও মিলছে না সুরক্ষা। ৫-৬ মাসের মধ্যেই কমে যাচ্ছে কার্যকারিতা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজারের টিকার ওপর এই গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে কয়েক মাস বাদেই অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করে।

ব্রিটেনের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইজারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজের ৫-৬ মাস বাদে প্রতিরোধ ক্ষমতা ৮৮ শতাংশ থেকে কমে ৭৪ শতাংশ হয়ে যায়। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ ক্ষমতা ৭৭ শতাংশ থেকে কমে ৬৭ শতাংশ হয়ে যায় ৪-৫ মাসের মধ্যে। ১২ লক্ষ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট পেশ করেছেন গবেষকরা। শুধু তাই নয়, বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। তাই বুস্টার ডোজের ওপর জোর দেওয়ার কথাই বলছেন তাঁরা। চলতি বছরের শেষেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ব্রিটেন।

এর আগে ব্রিটেনের ইউনিভার্সটি কলেজে লন্ডনের একট গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যে অ্যান্টিবডি কমতে শুরু করলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচ নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। বিশেষত নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিচ্ছে। তবে ঠিক কতদিনে অ্যান্টিবডি কমে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে জানাননি গবেষকরা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার ৬ সপ্তাহ পর তৈরি হয় অ্যান্টিবডি, আর ১০ সপ্তাহ পর থেকে সেই অ্যান্টিবডি কমে যায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছিল ২-৩ মাস পর থেকেই অ্যান্টিবডির পরিমান কমতে শুরু করে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী ৬০০ জনকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছিল।এ ছাড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও ভয় বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও ডেল্টা থাবা বসাচ্ছে, এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ডেল্টার ভ্যাকসিনের প্রাচীর ভেদ করার প্রবণতা বেশি।সম্প্রতি অন্য একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়েও আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ।  আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি অসুস্থ হচ্ছেন টিকাপ্রাপ্তরা। নিউ ইয়র্কের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই টিকাপ্রাপ্ত। ডেল্টার জন্যই এই সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনয় এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কলোরাডোতে মেসা নামে একটি জায়গায় এই ধরনের সংক্রমণের মাত্রা বেশি। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বুস্টার শট এ ক্ষেত্রে নিষ্কৃতি দিতে পারে। আরও পড়ুন: কার দখলে থাকবে পঞ্জশীর? রফা করতে মাসুদের সঙ্গে বৈঠক তালিবান প্রতিনিধি দলের

Next Article