মস্কো: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) সোমবার রাশিয়ানদের ওপর এক নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ইউক্রেনে আক্রমণের (Russia-Ukraine War) পর থেকে রুবেলের (রাশিয়ান মুদ্রা) মূল্য ক্রমশ নিম্নমুখী। রাশিয়ান অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা লাগতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই রাশিয়ানদের বিদেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুতিন সরকার। পাশাপাশি রফতানিকারকদের এই মুদ্রা কিনতে বাধ্য করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বিভিন্ন দেশগুলি। পশ্চিমী দেশগুলির তরফে মূলত ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তার প্রভাব সরাসরি রাশিয়ান অর্থনীতিতে পড়েছে, তাই বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে পুতিন সরকার টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রুবেল দামে রেকর্ড পতন দেখা গিয়ছে এমনকী রাশিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে এর সুদের হার দ্বিগুণ হয়ে ২০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
ক্রেমলিন সূত্রে জানা গিয়েছে বিদেশে টাকা পাঠানোতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানা গিয়েছে। পুতিন এমন একটি ডিক্রিতে সই করেছেন, যেটা অনুযায়ী যাঁরা রফতানি করবেন তাদের রুবেলে কমপক্ষে ৮০ শতাংশ রাজস্ব রাখতে হবে। রাশিয়ান একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ান প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ও দেশের সবথেকে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্ক বারব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। পুতিন তাদের স্পষ্টতই জানিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার কারণে তাদের সেখানে ডাকা হয়েছে। পশ্চিমী দুনিয়ার দেশগুলিকে ‘মিথ্যের সাম্রাজ্য’ বলেও কটাক্ষ করেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, পশ্চিমের দেশগুলির জারি কার নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে সমস্যা হবে, তবে রাশিয়া নিজের ক্ষমতায় সেই ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট সক্ষম। বিভিন্ন দেশে অবস্থিত রাশিয়ান ব্যাঙ্ক গুলিকে ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে। রাশিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ক্ষমতাও সীমিত। সোমবার আমেরিকা জানিয়েছিল রাশিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে যাবতীয় লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে এবং তাদের যাবতীয় সম্পদও ফ্রিজ করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ড ও জানিয়েছিল তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে। এখন রাশিয়া তথা ভ্লাদিমির পুতিন কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: যুদ্ধংদেহী! গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড ছেড়ে বন্দুক হাতে লাস্যময়ী, কে এই আনাসতাসিয়া লেনা?