ভিয়েনা: বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসকে হারাতে আর মানুষকে এই মহামারী থেকে বাঁচাতে বড় স্তরে টিকাকরণ চলছে। ছোট বড় সমস্ত দেশই নিজেদের নাগরিকদের করোনা টিকা নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে। এর মধ্যেই ইউরোপের দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। কিছু দেশে তো সেই মানুষদের আবারও করোনা হচ্ছে যারা ইতিমধ্যেই টিকা নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু যারা এখনও পর্যন্ত টিকার একটি ডোজও নেননি, তারা সরকারের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছেন। এই অবস্থায় অস্ট্রিয়া টিকা না নেওয়া নাগরিকদের জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল।
অস্ট্রিয়া ঘোষণা করেছে, যারা করোনার টিকা নেননি, তাদের জন্য দেশে লকডাউন করা হচ্ছে। টিকা না নেওয়া নাগরিকদের জন্য বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অস্ট্রিয়ায় যারা টিকা নেননি, তারা এখন বাড়িতেই থারবেন। না তো তারা রেস্টুরেন্টে যেতে পারবেন, আর না তাদের হোটেলে যাওয়ার স্বাধীনতা থাকবে। অন্যদিকে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের জন্য নানা রকমের সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্টের মতে, যারা ভ্যাকসিন নেননি তারা শুধু মাত্র ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যই বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন। এটাও বলা হচ্ছে, যারা সম্প্রতিই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, এবং যারা এখনও সুস্থ হননি, তাদেরও বাড়িতেই থাকতে হবে। এসব কিছুই লকডাউনের নিয়মের অধীনে থাকবে।
করোনা সংক্রান্ত এই ঘোষণা করেছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার অ্যালেকজান্ডার শালেনবার্গ। সোমবার থেকেই টিকাকরণ না করা নাগরিকদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, অস্ট্রিয়ার নাগরিকদের টিকা নেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত অস্ট্রিয়ায় করোনা টিকাকরণের গতি যথেষ্ট ভাল। কিন্তু কিছু মানুষ এখনও টিকা নিতে সংকোচ করছেন। দেশে এখনও পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত ১১৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
আরও পড়ুন: Imran Khan Vs Army: পাকিস্তানে বাড়ল সরকার আর সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব, টলোমলো ইমরান খানের পদ