রিয়াধ : সম্প্রতি সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত এক রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। কারণ? বিগত ৩০ বছর ধরে টয়েলেটে রান্না করা হত সেই রেস্তোরাঁয়। সমোসা থেকে অন্য সব স্ন্যাক্স তৈরি হত অস্বাস্থ্যকর জায়গায়। তিন দশক পর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ঝাঁপ বন্ধ করা হল সেই রেস্তোরাঁর। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেদ্দা মিউসিপ্যালটির তরফে এক অভিযান চালানো হয়েছিল সেই রেস্তোরাঁয়। একটি আবাসিক ভবনে অবস্থিত সেই রেস্তোরাঁর কীর্তি দেখে চোখ কপালে ওঠে আধিকারিকদের। অবিলম্বে সেই রেস্তোরাঁটিকে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেস্তোরাঁটি স্ন্যাক্স এবং বাকি সব খাবারই ওয়াশরুমে তৈরি করত। জেদ্দা মিউনিসিপ্যালিটির কর্মকর্তারা দেখতে পেয়েছেন যে খাবারের দোকানে ব্যবহৃত মাংস এবং পনিরের মতো বেশ কিছু সামগ্রী মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। যার মধ্যে কিছু কিছু জিনিস দুই বছর আগের। তাতে পোকামাকড় এবং ইঁদুরের দাপাদাপি। তাই দিয়েই নাকি খাবার তৈরি করে তা পরিবেশন করা হচ্ছে।
রেস্তোরাঁর কর্মীদের কারোর কাছেই কোনও স্বাস্থ্য কার্ড ছিল না এবং তারা স্পষ্টভাবে আবাসিক আইন লঙ্ঘন করছিলেন। উল্লেখ্য, সৌদি আরবে অস্বাস্থ্যকর অবস্থার জন্য এর আগেও রেস্তোরাঁ বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে জানুয়ারিতেই জেদ্দার একটি বিখ্যাত শাওয়ারমা রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রেস্তোরাঁয় একটি ইঁদুরকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল এবং একটি মাংস খেতে দেখা গিয়েছিল। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভোজনরসিক বহু মানুষ এই নিয়ে সরব হন। সেই ঘটনার পরপরই সৌদি কর্মকর্তারা ২৮৩৩টি রেস্তোরাঁ পরিদর্শন করেছিলেন। পৌরসভা বলেছে যে পরিদর্শন অভিযানের ফলে ৪৩টি এমন রেস্তোরাঁ চিহ্নিত হয়েছিল যারা আইন বা নিয়ম বিধি লঙ্ঘন করছিল এবং এর জেরে ২৬টি রেস্তোরাঁ বন্ধও করে দেওয়া হয়েছিল৷