কিয়েভ : পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে (Ceasefire in Ukraine) জন্য সম্মত হয়েছে ফ্রান্স ও রাশিয়া। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ (Emanuel Macron) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির (Vladimir Putin) পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রবিবার সহমত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে। জানা গিয়েছে, প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে ফোনে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। চলমান সঙ্কটের পরিস্থিতির মধ্যে একটি কূটনৈতিক সমাধানের জন্য সবকিছু করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও সম্মত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী জিন-ইভেস লে ড্রিয়ান এবং রাশিয়ান বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও পরবর্তী সময়ে দেখা করবেন বলে জানানো হয়েছে। পুতিন এবং ম্যাক্রন উভয়েই বলেছেন যে তারা “সবরকমভাবে” কাজ করবে যাতে ইউক্রেন, রাশিয়া এবং ওএসসিই-র ত্রিপাক্ষিক গোষ্ঠী “আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে” বৈঠক বসতে পারে।
উল্লেখ্য, পূর্ব ইউক্রেনে সরকারি নেতা এবং রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে এক সংঘর্ষ চলছে। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, “আগামী দিনগুলিতে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে আরও নিবিড় কাজ হবে।” ম্যাক্রোঁ এবং পুতিনও সম্মত হয়েছেন যে মিনস্ক প্রোটোকলের বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া, ইউক্রেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যে আলোচনা আবার শুরু করা উচিত। ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছিল এই প্রোটোকলের মাধ্যমে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, উভয় দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই “ইউরোপে একটি নতুন শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।” উল্লেখ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউক্রেনে যুদ্ধ ঠেকাতে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে “যে কোনও সময়” আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক। পরিস্থিতির উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে মার্কিন মুলুক। রবিবার রাশিয়া ইউক্রেনে হানা দেওয়ার জন্য একেবারে সীমান্তে তৈরি হয়ে রয়েছে। মার্কিন এক টক শোয়ে সেক্রেটারি অফ স্টেটস এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমরা যা দেখছি তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এ এক গুরুতর বিষয়। যে কোনও মুহূর্তে হামলা হতে পারে ইউক্রেনে।”
আরও পড়ুন : Russian-Ukraine Conflict : সীমান্তে ওত পেতে রুশ সেনা, ফের ভারতীয়দের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের