মস্কো : ইউক্রেন সীমান্তে (Ukraine Border) বেশ কিছুদিন ধরেই একটু একটু এগোতে শুরু করেছিল রুশ সেনা। তবে, সব আশঙ্কা সত্যি করে সরাসরি সামরিক অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইতিমধ্যেই একের পর এক প্রদেশে অভিযান চালাতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া। তবে, আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার হাতে থাকা সবথেকে মারাত্মক অস্ত্র প্রয়োগ করতেও পিছপা হবে না রাশিয়া। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, মস্কোর সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র যাকে ‘ফাদার অব অল বম্বস’ (Father Of All Bombs) বলা হয়, সেটা হয়ত বের করা হতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে ফলাফলও হবে ভয়ঙ্কর। ইউক্রেনের একাধিক শহরে আকাশ থেকে বোমা ফেলছে রাশিয়া। রাশিয়ার বিমানও গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেন। তাই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মনে করা হচ্ছে, রাশিয়া যদি সত্যিই ইউক্রেনের ওপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, তাহলে সে দেশের রাজধানী শহর কিয়েভে ফেলতে পারে ওই বোমা। যুদ্ধবিমান থেকে অনায়াসে ফেলা যায় ওই বোমা। আকাশ থেকে ফেলা হলে মাঝপথেই ঘটবে বড়সড় বিস্ফোরণ। ২০০৭ সালে প্রথম এই বোমার পরীক্ষা করে রাশিয়া। এর আগে সিরিয়ায় এই বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে এই অ-পারমাণবিক বোমা যথেষ্ট।
দাবি করা হয়, এটাই বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী বোমা। ২০০৭- সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম ওই বোমার শক্তি পরীক্ষা করে রাশিয়া। রাশিয়ার অস্ত্র- ভাণ্ডারে থাকা অনেক পরমাণু বোমাকেও হার মানিয়ে দেবে এই বোমা। সাত টন নতুন ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে ওই বোমা তৈরির ক্ষেত্রে। যার ফলে ছোট আকারের পারমাণবিক অস্ত্রও ধ্বংস করতে পারে এটি। সাধারণ বোমার তুলনায় এর বিস্ফোরণের ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রবল উত্তাপ তৈরি করতে পারে এই বোমা, যা স্থায়ী হবে বেশিক্ষণ ধরে।
উল্লেখ্য আমেরিকার হাতে রয়েছে এরকমই একটি অ-পারমাণবিক বোমা, যাকে বলা হয়, মাদার অব অল বম্বস। আইএস জঙ্গিদের ওপর অভিযান চালানোর সময় ২০১৭-র এপ্রিলে সেই বোমা ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। আফগানিস্তানে সেই বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পেন্টাগন। রাশিয়া দাবি করে, আমেরিকার ওই বোমার তুলনায় রুশ বোমার বিস্ফোরণের তীব্রতা হবে চার গুন বেশি।
আরও পড়ুন: Hijab Row in High Court: ‘হিজাব শব্দের উল্লেখ নেই কোরানে তবে…’, ব্যাখ্যা দিলেন আইনজীবী