কিয়েভ: খ্রিস্টমাসের আনন্দের আগেই অন্ধকার নেমে আসল ইউক্রেনে (Ukraine)। শুক্রবার একের পর এক মিসাইল (Missile Attack) নেমে আসল ইউক্রেনের বুকে। ৭০টিরও বেশি মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে ইউক্রেনে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ইউক্রেনে এত বড় মাপের হামলা চালাল রাশিয়া (Russia)। সূত্রের খবর, সর্বাধিক সংখ্যক মিসাইল আছড়ে পড়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে (Kyiv)। হামলার পরই কিয়েভে ইমার্জেন্সি ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করতে হয়েছে।
ইউক্রেনের সরকারি সূত্রে খবর, রাশিয়ার মিসাইল হামলায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। কাইরি রিহ-র একটি অ্যাপার্টমেন্টে মিসাইল আছড়ে পড়ে, সেই হামলায় কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত খেরসনে মিসাইলের হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার লাগাতার মিসাইল হামলার পরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানান, ৭০টিরও বেশি মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার কাছে আরও অনেক মিসাইল মজুত রয়েছে, যা দিয়ে একাধিক বড় হামলা চালাতে পারে। পশ্চিমি দেশগুলিকেও তিনি অনুরোধ করেন অস্ত্র সাহায্য করার জন্য।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই কিয়েভের তরফে সতকর্তা জারি করা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল, নতুন বছরে রাশিয়া আরও বড় মাপে, সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি একাধিক পরমাণু কেন্দ্রগুলিতেও লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শুক্রবারের হামলা সবথেকে ভয়ঙ্কর ছিল বলেই জানা গিয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেনে প্রবল তুষারপাত হওয়ায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরমাণু কেন্দ্র থেকে অত্যন্ত ক্ষতিকর তরল আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরমাণু শক্তিই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম হওয়ায়, মিসাইল হামলার পর ইমার্জেন্সি ব্ল্যাকআউট জারি করতে হয়। আগেও একাধিকবার পরমাণু কেন্দ্রগুলির উপরে হামলা চলায়, কেন্দ্রগুলি সংস্কার ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।