মস্কো: ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালানোয় একদিকে যেমন চটেছে ন্যাটো(NATO)-র সদস্য দেশগুলি, তেমনই আবার খুশি নন রাশিয়া(Russia)-র সাধারণ মানুষ। শুক্রবারই প্ল্যাকার্ড, পতাকা হাতে পথে নামেন কয়েকশো মানুষ। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান চালানোর নিন্দা করে তারা পথে বিক্ষোভ দেখান। দেশের জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে এবার আরও কঠোর হল রুশ প্রশাসন। শুক্রবারই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ফেসবুক(Facebook)-র উপর আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের উপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রেমলিনের সমর্থনপ্রাপ্ত একাধিক সংবাদমাধ্যম যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মস্কোকে নিশানা বানিয়েছে, তার আঁচ দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া থেকে রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ প্রশাসন।
শুক্রবার রাশিয়ার নিজস্ব সংবাদমাধ্যম রসকমনাজ়োরের তরফে জানানে হয়েছে, ফেসবুক বৃহস্পতিবারই দেশের নিজস্ব সংবাদসংস্থা আরআইএ নোভোস্তি, জ়াভেজ়দা, লেন্টা.রু ও গাজ়েটা-রুর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ওই নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেওয়া হয়। অন্যান্য কোনও সংবাদসংস্থার উপরে এই বিধিনিষেধ জারি করেনি ফেসবুক, এমনটাও জানানো হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্টের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রসঙ্গে রসকমনাজ়োর জানিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে এমন কিছু তথ্য পোস্ট করা হচ্ছে, যা বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্য নয়। সেই কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতেই ‘সার্চ রেজাল্টে’ কিছু নিষেধাজ্ঞার বেড়া পরানো হয়েছে।
রসকমনাজ়োরের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ফেসবুকের উপর আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক ও প্রসিকিউটার জেনারেলের অফিসের তরফেও ফেসবুক দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি ও সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করার পরই বিকেল থেকে রাশিয়ার রাস্তায় নামে বহু বিক্ষোভকারী। ‘যুদ্ধ নয়, যুদ্ধ নয়’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের রাস্তায় জড়ো হওয়া কয়েক হাজার রুশ নাগরিক ইউক্রেনের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে, যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানান।