কিয়েভ: মাত্র সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল সংঘর্ষবিরতি(Ceasefire), তাও শেষ অবধি ধরে রাখা গেল না। যুদ্ধের দশম দিনে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধারের জন্য যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ঘণ্টা খানেক বাদেই রাশিয়া (Russia) ও ইউক্রেন(Ukraine)-দুই দেশই একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করল সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের জন্য। একদিকে, ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া প্রতিশ্রুতি মতো মানবিক করিডর (Humanitarian Corridor) তৈরি করেনি এবং মারিউপোলের বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যেতে বাধা দিয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়ারও দাবি, ইউক্রেনবাসী শর্ত পালন করেনি, তারা কোনওভাবেই শান্তি বজায় রাখতে আগ্রহী নয়। যুদ্ধবিরতি বাতিল হতেই ফের হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।
শনিবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন যে, পশ্চিমী দুনিয়া যেভাবে রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, তা যুদ্ধের ইঙ্গিত দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি ইউক্রেনে ‘নো-ফ্লাই জ়োন’ ঘোষণা করা হয় বা করার চেষ্টা করা হয়, তবে তা দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে ঢুকে পড়ার সমান হিসাবেই গণ্য করা হবে।
এদিকে, শনিবার সকালেই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল যে, বেলারুশের বৈঠকে আলোচিত মানবিক করিডর তৈরির প্রস্তাব মেনেই কয়েক ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মারিউপোল ও ভলনোভাকারবাসিবন্দাদের নিরাপদভাবে শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। ইউক্রেনের তরফে জ়াপরঝিয়ার পথ ধরে নাগরিকদের বিশেষ বাসে করে বের করে আনার ব্যবস্থাও করা হয়। তবে বেলা গড়াতেই বিফল হয় যুদ্ধবিরতি, ফের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ শুরু করে দুই দেশ। মস্কো ও কিয়েভ- দুই রাজধানীর তরফেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করা হয়েছে। মারিউপোলের মেয়রও জানিয়েছেন, রুশ সেনা প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষকে বন্দি করে রেখেছে। খাবার, জল, বিদ্যুৎ পরিষেবাও ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: পশ্চিমী দেশগুলিকে নিশানা করে কি ‘আরও বড় যুদ্ধ’ শুরুর ইঙ্গিত দিলেন পুতিন?