কিয়েভ: শুধু শক্তিতেই নয়, বুদ্ধিতেও ইউক্রেন(Ukraine)-র সঙ্গে যুদ্ধ করছে রাশিয়া (Russia)। গত সপ্তাহেই অপহৃত হয়েছিলেন ইউক্রেনের মেলিটোপোল শহরের মেয়র (Mayor)। এবার জ়াপরজিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী অপর এক শহরের মেয়রকেও অপহরণ করে নিল রাশিয়ার সেনা বাহিনী। ইউক্রেনের এই অভিযোগ সামনে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিকে, একের পর এক মেয়র অপহরণ হতেই উঠে এসেছে এক নতুন জল্পনা। এক সূত্রের দাবি, ইউক্রেনের ভিতরেই নিজস্ব শহর গড়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া। সেই কারণেই তারা প্রশাসনিক পদ সামলানোর জন্য একের পর এক মেয়রকে অপহরণ করছে।
রবিবারই দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের জ়াপরঝিয়া অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্তা ওলেকস্যান্ডার স্টারুখ ফেসবুক পোস্টে জানান, রাশিয়ার সেনাবাহিনী দিনিপ্রোরুডনে শহরের মেয়রকে অপহরণ করে নিয়েছে। তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগে গত শুক্রবারই মেলিটোপোলের মেয়রকেও অপহরণ করে নেয় রুশ সেনা। ইউক্রেনীয় সংসদের তরফে সেই সময় জানানো হয়েছিল, শহর দখলের সময় ওই মেয়রকে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিল রুশ সেনা, কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিতেই তাঁকে অপহরণ করে নেয় সেনাবাহিনী।
ফের একজন মেয়রকে অপহরণ করে নেওয়ার খবর পেতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি প্রধান জোসেফ বোরেল্ল টুইটারে সরব হন। তিনি টুইট করেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে মেলিটোপোল ও দিনিপ্রোরুডনে শহরের মেয়রদের রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে অপহরণ হওয়ার কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে। এই নিয়ে ফের একবার ইউক্রেনের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা চালানো হল, যা একটি সার্বভৌম দেশে বিকল্প সরকার গঠনের চেষ্টার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।”
ইউরোপীয়ান পরিষদের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেলও রাশিয়ার এই হামলার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের উপরে হামলার পাশাপাশি এবার মেলিটোপোল ও দিনিপ্রোরুডনের মেয়রদেরও অপহরণ করা হচ্ছে।এটা আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কিও বলেন, “রাতভর আমরা ক্রমাগত বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের দাবি খুব স্পষ্ট, অপহৃত মেয়রদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। আমি ইতিমধ্যেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ়েের সঙ্গে কথা বলেছি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। প্রয়োজনে বাকি দেশের সঙ্গেও আমি এই বিষয়ে কথা বলব।”