মস্কো: বেশ কয়েকদিন ধরেই রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘাত (Russia-Ukraine Crisis) নিয়ে উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেন সরকার তথা আমেরিকার দাবি ছিল যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেন দখল করার লক্ষ্যে আক্রমণ করতে পারে রাশিয়া। কিন্তু এখনও অবধি আক্রমণের পথে না হেঁটে কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিয়েছে মস্কো। কূটনৈতিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এবার ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের স্বাধীনতার দাবিকে স্বীকৃতি দিল রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। ইউক্রেনের ডোনেটস্ক এবং লুগানস্ক দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার দাবি করে আসছে। মঙ্গলবার, রাশিয়ান টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পর ওই দুটি অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সাহায্যের চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসা এই দুটি অঞ্চলকে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্নভাবে সাহায্য করে আসছিল রাশিয়া। রাশিয়ার নিরাপত্তা পর্ষদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের পর, এই চুক্তি স্বাক্ষরকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
পুতিনের বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। টুইটে তিনি বলেন, “রাশিয়ান ফেডারেশনের বৈঠকে এই ধরনের বিবৃতি সামনে আসার পর আমি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
জাতির উদ্দেশে ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, “যাঁরা একটি গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয়ে হিংসা, রক্তপাত ও অনাচারের পথ বেছে নিতে চেয়েছিল তাঁরা কোনওভাবে সমাধানের পথকে বেছে নিতে চায়নি এবং স্বীকৃতি দেয়নি। আমি মনে করি অবিলম্বে ডোনেস্ক পিপলস রিপাবলিক এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আধুনিক ইউক্রেন সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার তৈরি এবং নির্দিষ্টভাবে বলতে পারি বলশেভিক, কমিউনিস্ট রাশিয়া আধুনিক ইউক্রেন গঠনে সাহায্য করেছে। ১৯১৭ সালের বিপ্লবের পর থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।” পুতিনের দাবি ইউক্রেন শুধুমাত্র রাশিয়ার প্রতিবেশি দেশই নয় বরং রাশিয়ান ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পুতিন মনে করেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি রাশিয়ার জন্য বড় বিপদ। পুতিনের এই সিদ্ধান্তের পর সংঘাত কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন : UP Assembly Election: ‘বিজেপির বিরুদ্ধে ৪৪০ ভোল্টের কারেন্ট’, অখিলেশের গলায় আত্মবিশ্বাসী সুর
আরও পড়ুন : BJP MLA: ‘হারলে, ভোটারদের ডিএনএ টেস্ট করাবো’, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি বিধায়কের