মস্কো: যুদ্ধের মাঝেই বড় ধাক্কা খেলেন রাশিয়া(Russia)-র প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর সঙ্গ ছাড়লেন দীর্ঘদিনের সঙ্গী তথা রাশিয়ার জলবায়ু দূত ও প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা আন্যাটোলি চুবাইস (Anatoly Chubais)। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করার জন্য়ই প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করে তিনি পদত্যাগ করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, দেশ ছেড়েও তিনি চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেনের উপরে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রুশ শীর্ষ মহলের অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর একমাস পর এই প্রথম সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হল।
গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল সূত্রের দাবি, ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখেননি পুতিনের একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আন্যাটোলি চুবাইস। সম্প্রতিই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু হয়।যুদ্ধ নিয়ে এটিই রাশিয়ার শীর্ষ মহলের সবথেকে বড় বিরোধ বলে মনে করা হচ্ছে।
চুবাইস (৬৬) ১৯৯০-র দশকের অর্থনৈতিক সংস্কারক ছিলেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই পুতিনের সরকারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে পশ্চিমী দেশগুলির একাধিক আধিকারিকদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। ৯০-র দশকে বেসরকারিকরণের অন্যতম কারিগর হিসাবে পরিচিত চুবাইসই বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রথম কাজ দিয়েছিলেন। এরপরে রাশিয়ার শাসক হিসাবে পুতিনের উত্থানের পিছনেও তিনিই ছিলেন। প্রতিদানে চুবাইসও বড় বড় সংস্থায় কাজ করতেন। পরে পুতিন তাঁকে রাষ্ট্রদূত হিসাবে ঘোষণা করেন।
রাশিয়ার জলবায়ু দূতের হঠাৎ এই ইস্তফা ও দেশছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খোলেননি ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানান চিবাইস। গত সপ্তাহেও তিনি পরোক্ষে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর সিদ্ধান্তের ঝুঁকির উল্লেখ করেছিলেন ফেসবুক পোস্টে।
অন্যদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রুশ সরকার দেশের নেতারা যাতে মুখ না খোলেন, তার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে। সম্প্রতিই প্রেসিডেন্ট পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যে সমস্ত বিশ্বাসঘাতকরা আমেরিকা ও তাদের বন্ধু দেশগুলির হয়ে কাজ করছে, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে রাশিয়ার শুদ্ধিকরণ করা হবে।