BRICS: রাশিয়া সভাপতিত্বে ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য ৫ মুসলিম দেশ, যোগ দিল না মেসির দেশ
BRICS new 5 members: শুক্রবার (৫ জানুয়ারি), ব্রিকস গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব গ্রহণের পর, নতুন সদস্য হওয়া পাঁচ দেশকে এই গোষ্ঠীতে স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর মতে, এই পাঁচ দেশের যোগদান, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু আসার কথা থাকলেও, এই গোষ্ঠীতে যোগ দিল না আর্জেন্টিনা।
নয়া দিল্লি: রাশিয়া ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্ব নেওয়ার পরই, এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে যোগ দিল পাঁচ মুসলিম দেশ – মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব। চলতি বছরের পয়লা জানুয়ারিই সরকারিভাবে এই পাঁচটি দেশ ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্যপদ পেয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ব্রিকস গোষ্ঠীর সদস্য ছিল বিশ্বের পাঁচটি বড় অর্থনীতির দেশ – ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ মুসলিম দেশের সঙ্গে সঙ্গে এই গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল লিওনেল মেসির দেশ, অর্থাৎ, আর্জেন্টিনারও। কিন্তু, সেই দেশের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, হাভিয়ের মিলেই সেই দেশের নাম এই গোষ্ঠীতে যোগ দিতে আগ্রহীদের তালিকা থেকে সরিয়ে নেন। ব্রিকস গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি), ব্রিকস গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব গ্রহণের পর, নতুন সদস্য হওয়া পাঁচ দেশকে এই গোষ্ঠীতে স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বলেছেন, “মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব নতুন পূর্ণ সদস্য হিসেবে ব্রিকস-এ যোগ দিয়েছে। এই পাঁচ দেশের যোগদান, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ইঙ্গিত দিচ্ছে।” ২০২৪-এর অক্টোবরে, রাশিয়ার কাজানে হওয়ার কথা ব্রিকস ২০২৪ শীর্ষ সম্মেলন। নতুন পাঁচ দেশ, পূর্ণ সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ায়, এবারের শীর্ষ সম্মেলনই এই গোষ্ঠীর সবথেকে বড় শীর্ষ সম্মেলন হতে চলেছে।
ব্রিকস গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে তাঁর সরকারি বিবৃতিতে, পুতিন জানিয়েছেন, এই গোষ্ঠীর সকল সদস্যের মধ্যে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলাকেই তারা অগ্রাধিকার দেবেন। নিরাপত্তা, অর্থনীত, সংস্কৃতি, মানুষে-মানুষে যোগাযোগের মতো ব্রিকস গোষ্ঠীর অংশিদারিত্বের সকল দিককে তুলে ধরবে মস্কো। এছাড়া, বিজ্ঞান, উচ্চমানের প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পরিবেশ রক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, যুবশক্তি বিনিময়, সুশীল সমাজের মতো ক্ষেত্রগুলিতেও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর জোর দেবে রাশিয়া।